তৃণমূল আছে তৃণমূলেই। নন্দীগ্রাম দিবসেও থামল না তাদের গোষ্ঠী কোন্দল। কলকাতা থেকে আসা নেতাদের সামনেই চলল আকচা - আকচি, হাতাহাতি। সামনে দাঁড়িয়ে দেখলেন কুণাল ঘোষ। কার্যত ধমক দিয়ে বিক্ষোভ থামাতে হল তাঁকে। শহিদ স্মরণেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাকি দিনগুলোয় কী হবে, প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।
বৃহস্পতিবার গোকুলনগরের করপল্লিতে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করতে হাজির হন কুণাল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়ার অনুগামীরা। মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাদের দাবি পীযূষ ভুঁইয়াকেও মঞ্চে উঠতে দিতে হবে।
বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কুণাল। ব্যর্থ হয়ে শেষে বলেন, ‘যারা গন্ডগোল পাকাচ্ছেন তারা বিজেপির লোক। আপনারা না থামলে বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর মঞ্চ উপড়ে ফেলব।’ তবে এখানেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। এক সময় অশান্তি চরমে পৌঁছলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অনুষ্ঠান শেষে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে পাশাপাশি মঞ্চে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে তৃণমূল ও বিজেপি।