বীরভূমের নানুর চণ্ডীদাস কলেজের নবীনবরণ উৎসব নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল। কারণ এখানে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দাম নৃত্য করতে দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রীদের ওই অশ্লীল নাচের সঙ্গে উড়ছে টাকা। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। ওই উদ্দাম ছাত্রীদের নৃত্যের সময় বহিরাগতদের উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নাচ থেকে ছাত্ররা টাকা ওড়াচ্ছিল বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে এখন নিন্দার ঝড় বইছে।
এদিকে এই নবীনবরণ উৎসব আয়োজন করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এই নাচ ও টাকা ওড়ানোর ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকী যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তার কোনও সত্যতা নেই বলে দাবি করা হয়েছে। চণ্ডীদাস কলেজের এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। অপসংস্কৃতি চালু করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। নানুরের খুঁজুটিপাড়ায় চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ের এমনই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরে আবার বোমাতঙ্ক, টেক অফের আগে হুমকি ফোন, আটক এক ব্যক্তি
অন্যদিকে বহিরাগতদের কারা ভিতরে ঢোকাল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে এমন নাচ কার অনুমতিতে হয়েছে এবং টাকা ওড়ানোর ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে নানুর চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শেখ আতাউর রহমান বলেন, ‘নবীনবরণ ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল ৷ তারপর যা ঘটেছে পুরোটাই আমার অজান্তে। তবে আমরা সচেতন। আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না সেটা কথা দিচ্ছি।’ সুতরাং এই ঘটনা যে ঘটেছে তার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ।
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা আওয়াজ তুলে শুরু করেছে। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের। বোলপুরের বিজেপি নেতা শিশির দাসের বক্তব্য, ‘শিক্ষার মান আর নেই বাংলায়। চাকরিও পাচ্ছে না। এরা দেখছে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে পড়াশোনা করে কিছু হবে না। তাই এরা বার ডান্সারে পরিণত হয়েছে। টাকা উড়তে দেখা যায় বারে অথবা ক্লাবে। আর এখানে কলেজে টাকা উড়ছে। কলেজটা রাতারাতি বারে পরিণত হয়েছে।’ কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি মিলটন রশিদের কথায়, ‘ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ শেষ করছে তৃণমূল। কবি চণ্ডীদাসের নামে কলেজ। সেই কলেজের নাম কলুষিত করছে। বহিরাগতরা ঢুকে ছাত্রীদের সঙ্গে নাচছে। ছাত্রীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। সংস্কৃতি ধ্বংস করছে তৃণমূল কংগ্রেস।’