আজ বারাসতে সভা করতে চলেছেন মোদী। সেখানে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা থাকতে পারেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের তারাতলা থেকে মাঝেরহাট অংশ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজকের মোদীর সভার সব লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়।
সন্দেশখালির পাঁচ নির্যাতিতার সঙ্গে কথা মোদীর
সন্দেশখালির পাঁচ নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নেন। জানা গিয়েছে মঞ্চের পিছনে এই আলাপচারিতা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা বিকাশ সিং।
‘গোটা বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে’
মোদী বলেন, ‘এই বাংলার মাটি নারী শক্তির প্রেরণা জুগিয়েছে। এখানে সারদা মা, রাণী রাসমনির জন্ম। আর এখানে মা-বোনেদের ওপরে অত্যাচার করে ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তাতে যে কারও মাথা লজ্জায় ঝুঁকে যাবে। তবে আপনাদের কষ্টে তৃণমূল সরকারের কিছু যায় আসে না। এই তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি প্রয়োগ করছে। তবে প্রথমে হাই কোর্ট, আর আজ সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তৃণমূলের মাফিয়া রাজকে শেষ করতে বাংলার নারীরা নেমে পড়েছেন। সন্দেশখালি দেখিয়েছে, বাংলার মেয়েদের জন্য শুধুমাত্র বিজেপি আওয়াজ তোলে। তৃণমূল শুধু তোলাবাজদের জন্য কাজ করে। তারা মা-বোনেদের সুরক্ষা দিতে পারবে না। আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ধর্ষণের মতো অপরাধের সাজা হিসেবে ফাঁসির ব্যবস্থা করেছে।’
‘ঋণ শোধ করছি’
মোদী বলেন, ‘কারও কারও মনে হয়, কোনও কোনও রাজনীতিক মনে করবেন, তাঁরা গালি দিয়েছেন বলে আমি সবাইকে আমার পরিবার হিসেবে পরিচয় দিই। তবে আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন ঝোলা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তখন দেশের কোণায় কোণায় গিয়ে কিছু এটকা খুঁজছিলাম। তখন আমার পকেটে এক পয়সাও থাকত না। অনেক জায়গার ভাষাও আমি জানতাম না। তবে আমার দেশের মা ও বোন, পরিবার… জানি না কী কারণে, তবে তাঁরা আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, আমি খাবার খেয়েছি কি না। আমার পকেটে এক পয়সাও ছিল না। তবে আমি একদিনও পেটে খিদে নিয়ে থাকিনি। আর তাই আমি বলি, এই গোটা দেশ আমার পরিবার। সেই সময় আমার কোনও পরিচয় ছিল না। কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরতে থাকা এক যুবক ছিলাম আমি। সেই সময় দেশের অনেক গরিব পরিবারও আমার চিন্তা করেছে। আর তাই আজ আমি দেশের গরিব, মা-বোনেদের জন্য কাজ করছি। কারণ আমি সেই ঋণ শোধ করছি।’
‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়’
মোদী বলেন, ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়। আজকে দেশের সব পরিবার নিজেদের মোদীর পরিবার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আজকে দেশের সব গরিব বলছে, আমরা মোদীর পরিবার।’
পরিবার বিতর্কের জবাব মোদীর
মোদী বলেন, ‘কেন্দ্রে এনডিএ ফিরবে, এটা নিশ্চিত দেখে ইন্ডি জোটের নেতারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। আর এখন তারা মোদীকে গালি দিতে শুরু করে দিয়েছে। আজকাল ইন্ডি জোটের লোকেরা আমার পরিবার নিয়ে বলছে। তারা বলে, আমার নিজের পরিবার নেই, তাই পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে পারি। তারা জানতে চায়, আমার পরিবার কোথায়। আজকে এখানে যে নারীরা এখানে এসেছেন, যারা প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সভায় যোগ দিয়েছেন, তারাই আমার পরিবার। বাংলার প্রত্যেক মা-বোনেরা আমার পরিবার।’
১০ বছরে কলকাতা মেট্রোয় ৩১ কিমি পথ জুড়েছে
মোদী বলেন, ‘আজকে একসঙ্গে কলকাতা, পুণে, কোচি, আগ্রার মেট্রো এবং নমো ভারত ট্রেনের রুটের বিস্তার ঘটেছে। কলকাতা সেই শহর, যার মেট্রো দেখে কত প্রজন্ম পার হয়েছে। তবে আজকে কলকাতা মেট্রো এটার প্রমাণ যে বিজেপি সরকার কত দ্রুত কাজ। ২০১৪ সালের আগে ৪০ বছরে ২৮ কিমি লম্বা ছিল কলকাতা মেট্রো। আর বিগত ১০ বছরে নতুন করে ৩১ কিমি পথ জুড়েছে কলকাতা মেট্রোয়।’
‘গ্রামে গ্রামে নারীদের দৌড়…’
মোদী বলেন, ‘বিজেপির মহিলা মোর্চর নেতাদের অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বহু বছর সংগঠনে কাজ করেছি। তাই জানি, এত বড় আকারের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পরিকল্পনা করা, দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের অন্যতম বড় ঘটনা। এবার গ্রামে গ্রামে আমাদের মা, বোন, মেয়েরা নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচির জন্য দৌড়াচ্ছিলেন।’
‘আজকের এই বিশাল জনসামগম প্রমাণ করে…’
মোদী বলেন, ‘আজকের এই বিশাল জনসমাগর প্রমাণ করছে কীভাবে বিজেপি নারী শক্তিকে ভিত্তি করে দেশের উন্নয়নের পথ গড়ছে। বিজেপির শক্তি বন্দনা কর্মসূচির সময় দেশের মহিলাদের কাছে গিয়ে আমরা কথা বলেছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকের কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য প্রান্তের নারীরাও অংশ নিয়েছেন।’
বারাসতে মোদী
বারাসতের সভাস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁকে মঞ্চে মা দুর্গার মূর্তি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। মোদী মঞ্চে ওঠার পরে বক্তব্য রাখেন দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি মালদা এবং সন্দেশখালিকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে কটাক্ষ করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০০ টাকার বিনিময়ে বাংলার মা-বোনেদের সম্মান বিক্রি করেছেন।’
এক নম্বর গেটের সামনে ফের আটকে দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালির বাস
বিমানবন্দরের এক নম্বর গেটের সামনে ফের আটকে দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালি থেকে আসা বাস। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে বারাসত যাচ্ছেন। এই আবহে যশোর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। এই আবহে রাস্তাতে আটকে পড়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর তাই সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
সন্দেশখালি থেকে আসা বাস আটকানোর অভিযোগ
নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের সামনে সন্দেশখালি থেকে আসা বাসগুলিকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই আবহে বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যানজট ছাড়িয়ে বাসগুলিকে ফের গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো করে যাবেন মোদী
স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোয় চাপবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজকের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গঙ্গার তলার মেট্রোর উদ্বোধন মোদীর
আনুষ্ঠানিক ভাবে গঙ্গার তলার মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এছাড়াও ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর আরও দুই রুটের সম্প্রসারিত পর্যায়ের মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করলেন মোদী। তাছাড়াও ভারতের আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী।
গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো করে যেতে কত ভাড়া লাগবে?
প্রাথমিকভাবে খবর, হাওড়া থেকে হাওড়া ময়দান থেকে যেতে ভাড়া লাগবে পাঁচ টাকা। হাওড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর, বরানগর এবং নোয়াপাড়া যেতে খরচ পড়বে ৩০ টাকা। হাওড়া থেকে দমদম, বেলগাছিয়া এবং শ্যামবাজার যেতে খরচ পড়বে ২৫ টাকা। হাওড়া থেকে শোভাবাজার-সুতানটি, গিরিশ পার্ক এবং মহাত্মা গান্ধী রোড যেতে লাগবে ২০ টাকা। হাওড়া থেকে সেন্ট্রাল, চাঁদনি চক, পার্কস্ট্রিট এবং ময়দান পর্যন্ত যেতে লাগবে ১৫ টাকা করে। হাওড়া থেকে রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন এবং যতীন দাস পার্ক যেতে ২০ টাকা। হাওড়া থেকে কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, মহানায়ক উত্তর কুমার (টালিগঞ্জ) এবং নেতাজি (কুঁদঘাট) যেতে ২৫ টাকা। হাওড়া থেকে মাস্টারদা সূর্য সেন (বাঁশদ্রোণী), গীতাঞ্জলি (নাকতলা), কবি নজরুল (গড়িয়া বাজার), শহিদ ক্ষুদিরাম (ব্রিজি) এবং কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) যেতে ৩০ টাকা। হাওড়া থেকে সত্যজিৎ রায় যেতে ৩৫ টাকা। হাওড়া থেকে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী এবং কবি সুকান্ত যেতে ৪০ টাকা। এবং হাওড়া থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবির মোড়) যেতে ৫০ টাকা লাগবে।
গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো পরিষেবা কখন থেকে কখন?
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করার কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। আর তখন ১০ বা ১২ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো চলতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশে। সূত্রের খবর, সকাল ছ'টা ৩০ মিনিট নাগাদ পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। শেষ মেট্রো চলতে পারে রাত ৯ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
আর কিছুক্ষণের মধ্যে গঙ্গার তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো
আর কিছুক্ষণের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের (গ্রিন লাইন) হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশের উদ্বোধন হতে চলেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরে কবে থেকে ওই অংশে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হবে, তা নিয়ে ধন্দ আছে।
এসপ্ল্যানেডের নতুন মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনে মোদী
এসপ্ল্যানেডের নতুন মেট্রো স্টেশনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন সেই স্টেশন পরিদর্শন করছেন মোদী। মেট্রো কর্তারা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব কিছু দেখাচ্ছেন মোদীকে।
এসপ্ল্যানেডের পথে মোদী
রাজসভবন থেকে বেরোল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন মোদী। সেখান থেকেই গঙ্গার তলার মেট্রোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়াও কলকাতার আরও দু'টি রুটের মেট্রোর উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
বারাসতের পথে কখন যাবেন মোদী?
এরপর সকাল ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ সড়কপথে অনুষ্ঠানস্থল থেকে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতা থেকে হেলিকপ্টার করে বারাসতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন মোদী। প্রায় ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ বারাসাত হেলিপ্যাডে নামবেন মোদী। এরপর সাড়ে ১১টা থএকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বারাসতের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা মোদীর।
মোদীর সরকারি অনুষ্ঠানের সূচি
আজ সকাল ১০টা নাগাদ সড়কপথে রাজভবন থেকে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ সরকারি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আধঘণ্টার অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধির প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মোদী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতার একাধিক রুটে মেট্রোর উদ্বোধনও করবেন মোদী।
কলকাতায় মেট্রোর একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদী
আজ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের তারাতলা থেকে মাঝেরহাট অংশ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আজ বারাসতে সভা করতে চলেছেন মোদী
আজ বারাসতে সভা করতে চলেছেন মোদী। সেখানে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা থাকতে পারেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বারাসতের জনসভা শুরু হতে পারে।