স্কুলের মধ্যেই আত্মঘাতী হলেন শিক্ষক। এটাই এখন সবাই জানেন। কিন্তু নেপথ্যে খুন কিনা সেটা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গ্রিনপার্কে এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শ্রেণিকক্ষ থেকে এই শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্কুল থেকে খবর যায় পুলিশে। তখন ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এবং শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেয় ময়নাতদন্তের জন্য। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দেহের কথা জেনে এবং কেউ কেউ দেখে আতঙ্কে ভুগছেন।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই শিক্ষকের নাম রাজেশ রজক (২৮)। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা ছিলেন শিক্ষক রাজেশ। ওই স্কুলে হিন্দি পড়াতেন শিক্ষক রাজেশ। পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। তাই পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে খুঁজতে স্কুলে গিয়ে পৌঁছন। ওই স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় রাজেশ রজকের দেহ। এটা খুনও হতে পারে। তারপর দেহ লটকে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের চাবি তার কাছে থাকায় যখন তখন তিনি ঢুকতে পারতেন।
আরও পড়ুন: জয়নগরে ধানখেত থেকে রক্তাক্ত মহিলার দেহ উদ্ধার, সিসিটিভির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু
অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বাড়িতে রাজেশের অশান্তি হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তার জেরেই ক্ষোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষক রাজেশ। আর বাড়ি তিনি ফেরেননি। কিন্তু এই ক্ষোভের জেরে যে স্কুলে গিয়ে এই চরম পদক্ষেপ করবেন তা কেউ ভাবতে পারেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই দেহটি দেখে খবর দেয় নরেন্দ্রপুর থানায়। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে এবং দেহ উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে এই অশান্তির কথা পুলিশের কাছে চেপে যাওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশ তদন্ত করে বের করতেই তা স্বীকার করেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও এই অশান্তির জেরে এমন সিদ্ধান্ত কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিক্ষকের দেহ উদ্ধারের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নরেন্দ্রপুর থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে। পরিবারের সদস্যরা এবং স্কুলের সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।