দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের কাঠিপোঁতা গ্রামে বোমার আঘাতে নাবালকদের আহত হওয়ার ঘটনায় উঠে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব। যে মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে তার সভাপতি এজন্য দায়ী করেছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে। ওদিকে এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে ঘটনায় গ্রেফতার বেড়ে হল ৭।
শুক্রবার নরেন্দ্রপুরের খেয়াদা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠিপোঁতা গ্রামে বোমার আঘাতে আহত হয় ৫ কিশোর। অভিযোগ, বোমা মজুত করার ঘটনা দেখে ফেলায় তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তবে আহতদের প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় যে ক্লাবের মাঠে বিস্ফোরণ হয়েছে তার সভাপতির দাবি। মাঠে একটি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। সেই পুজো বন্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তৎপর ছিলেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকার। এমনকী মাঠে নির্মিয়মান প্যান্ডেল ভাঙচুর করে প্রবীরবাবুর অনুগামীরা। পুজো বন্ধ করতেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল বলে অনুমান তাঁর।
এই ঘটনায় শুক্রবার ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতে তল্লাশি চালিয়ে প্যান্ডেল ভাঙচুরে অভিযুক্ত আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে ঘটনায় গ্রেফতারি বেড়ে হয়েছে ৭। পুজো নিয়ে কী বিবাদ চলছিল তা বিস্তারে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এব্যাপারে প্রবীর সরকারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার কাঠিপোঁতা গ্রামে মাঠে খেলার সময় বোমার আঘাতে আহত হয় ৫ কিশোর। জানা যায়, মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে কেউ। এর পরই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার জেরে শনিবার সকালেও আতঙ্কিত এলাকার শিশু ও অভিভাবকরা। সন্তানদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দিচ্ছেন না তাঁরা।