বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘চোখ খুলেছে’! পোর্টাল, প্রশিক্ষণ,সবুজ বাজিতে উৎসাহ দিতে গুছিয়ে নামছে নবান্ন

‘চোখ খুলেছে’! পোর্টাল, প্রশিক্ষণ,সবুজ বাজিতে উৎসাহ দিতে গুছিয়ে নামছে নবান্ন

সবুজবাজি উৎপাদনে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।  (টুইটার)

রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতর একটি পোর্টাল তৈরি করেছে। পোর্টালের মাধ্যমে বাজি কারখানার জন্য আবেদন ও তার নিষ্পত্তি করা যাবে ওই পোর্টালে ।

এগরার ঘটনা 'চোখ খুলে দিয়েছে'। সেখানে গিয়ে স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নডেচড়ে বসেছে প্রশাসনও। বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে দৌরাত্ম্য রুখতে ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে ক্লাস্টারের বাজি ব্যবসায়ীরা তৈরি করবেন পরিবেশবান্ধব বাজি। এর পাশাপাশি পরিবেশ তৈরিতে উৎসাহ দিতে এক জানলা নীতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তৈরি করা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল। যে পোর্টলের মাধ্যে বাজি ব্যবসায়ীরা ঘরে বসে আবেদন করতে পারবেন বাজি কারখানার লাইসেন্স নেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরির জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বাজি ব্যবসায়ীদের।

রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতর এই পোর্টালটি তৈরি করেছে। পোর্টালের মাধ্যমে বাজি কারখানার জন্য আবেদন ও তার নিষ্পত্তি করা যাবে ওই পোর্টালে । দমকল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়ের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না, ওই পোর্টাল থেকে ছাড়পত্র মিলবে।  পোর্টলটি শিল্পসাথী পোর্টালের সঙ্গেও যুক্ত করা হবে। 

নবান্ন সূত্রে খবর,  পরিবেশবান্ধব বাজি উৎপাদনকারীদের লাইসেন্স পাওয়া  শর্তাবলি ঠিক করতে দফতর একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করছে। এই এসওপি সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হবে। সম্প্রতি নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকেই এই এসওপি-র ব্যাপারে জানানো হয়।

কী থাকছে এই এসওপিতে

এই ভার্চুয়ার বৈঠকে মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের জানিয়ে দেন, বাজি কারখানা তৈরির আগে বাধ্যতামূলকভাবে এক্সপ্লোসিভ এবং ফায়ার লাইসেন্স নিতে হবে। এর সঙ্গে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণের শংসাপত্রও থাকতে হবে। যে সব গুদামে বাজি মজুত থাকবে, তার লাইসেন্স নিতে হবে। কারখানায় যে বাজি তৈরি হবে তা আগে পরীক্ষা করে দেখার কথাও ভাবছে সরকার।

সবুজ বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ

বাজি উৎপাদনকারীদের সবুজ বাজি তৈরির পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য সরকার। এ জন্য নাগপুর থেকে প্রশিক্ষকদের আনা হচ্ছে। তাঁরা আগামী দু'মাস জেলায় জেলায় গিয়ে সবুজ আতশবাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দেবেন। সূত্রের খবর, আগামী জুন মাসে রাজ্য জুড়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ৩০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

জেলায় জেলায় কমিটি

বাজি নিয়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে মূল কমিটিতে থাকছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, দমকল সচিব পরিবেশ সচিব ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দফতরের সচিব। জেলার কমিটিতে এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা শাসকদের

পরিবেশবান্ধব আতশবাজি ‘ক্লাস্টার’

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিবেশবান্ধব আতশবাজির ক্লাস্টার তৈরির জন্য । সেই নির্দেশ মেনে ক্লাস্টার তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। লোকালয় থেকে দূরে চলছে জমি খোঁজার কাজ। এ জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ক্লাস্টার তৈরির উৎসাহ দেখাচ্ছেন বেসরকারি শিল্পপতিরাও।

 

বন্ধ করুন