বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে। দরদর করে ঘামছেন। ভিড় বাসে তো উঠতেই ইচ্ছা করছে না। কালবৈশাখীরও দেখা নেই। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে? দিন পাঁচেকের ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই এই বাংলারই পাহাড়ি নির্জন গ্রামে 'ধোত্রে' ঘুরে আসুন। দার্জিলিংয়ের বড্ড ভিড়ে অনেকেরই যেতে আর মন চায় না। ইচ্ছা করে একটু নির্জনে কাটিয়ে দিতে কিছুটা সময়। মনের মতো সঙ্গী থাকলে তো কথাই নেই। আর সেই নির্জনতা যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা ধোত্রে(Dhotrey)। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের বাফার জোনের মধ্যে ৮ হাজার ৩৪০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ধোত্রে।
এনজেপি অথবা দার্জিলিং মোড় থেকে ধত্রে বা ধোত্রে যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। শেয়ার কারও পেয়ে যেতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং, মানেভঞ্জন হয়ে দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। দার্জিলিং থেকে আসতে চাইলে ঘুম, সুখিয়াপোখরি হয়ে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দূরত্ব। মানেভঞ্জনেও থাকতে পারেন। অথবা ধোত্রেতেও দুরাত কাটিয়ে দিতে পারেন। এখানেও হোম স্টে রয়েছে। ভাড়া মোটামুটি ১২০০ টাকার মধ্যে। সকালে উঠে হোম স্টের বারান্দায় কিছুক্ষন বসুন। সামনে তাকান। পাহাড়ের চূড়া দেখা যাচ্ছে। মেঘের দল ভেসে বেড়াচ্ছে। আর তার সঙ্গে ভেসে আসছে পাখির গান। ভালোবাসার গান। মন ভরে শুনুন। দেখবেন ভিড় বাস, শিয়ালদা স্টেশন, অফিসের গম্ভীর সব মুখ, সব ভুলে যাবেন দিন কয়েকের জন্য।
যাঁরা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্যও আদর্শ এই জায়গা। হরেক পাখির মেলা। তার সঙ্গেই দুপাশে রডোডেনড্রন, ম্যাগনোলিয়ার জলসা। আর একেবারে হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই সময় আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার থাকতে পারে। পাইনের বন দিয়ে সোজা হাঁটতে থাকুন। সামনেই ভিউ পয়েন্ট। এতদিন বলব বলব করেও যে কথাটা বলতে পারেননি তাঁকে, কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সাক্ষী রেখেই বলে ফেলুন সেই কথাটা। দশটা- পাঁচটার আটপৌরে জীবন থেকে নিরিবিলি, ঠাণ্ডায় একটু অন্যরকম করে কাটিয়ে ফেলুন কয়েকটা দিন।