ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্ট। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রায় ৮৬৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই বক্সার দুর্গ। আলিপুরদুয়ারে যাঁরা বেড়াতে যান তাঁদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা এই বক্সা ফোর্ট। আলিপুরদুয়ার থেকে বক্সা যাওয়ার রাস্তার দুপাশের দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয় পর্যটকদের। আর যাঁদেরকে বার বার টানে ইতিহাসের পাতা, তাঁদের কাছে বক্সার এক অন্য আকর্ষণ আছে। সেই বক্সা দুর্গ দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত অবহেলিত হয়েছিল। সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল কাঠামো। সেই দুর্গই এবার সংস্কার করা হয়েছে অনেকটাই। মুখ্যমন্ত্রীও এনিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
তবে সূত্রের খবর এবার নতুন সাজে খুলে দেওয়া হবে বক্সা ফোর্টের দরজা। প্রায় বছর তিনেক ধরে পর্যটকরা বিশেষত এই ফোর্টে ঢুকতে পারতেন না। শনিবার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা এখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এই দুর্গ সংস্কারের কাজ অনেকটাই হয়েছে। জুন মাসেই এই দুর্গের দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে এখনও সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। এখানকার সংগ্রহশালাকেও আরও উন্নত করা হবে। এখানে বৌদ্ধমূর্তি, প্রাচীন মুদ্রা, ছবি, জনজাতির পোশাক প্রদর্শিত হবে।
এদিকে মূল কাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রেখেই যাতে বহু সংগ্রামীর স্মৃতি বিজড়িত এই ফোর্ট সংস্কার করা হয় তার দাবি উঠেছিল। তবে প্রাচীন পাথরগুলিতে অক্ষত রেখেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই এই দুর্গকে সংস্কার করা হয়েছে। এজন্য ইতিমধ্যেই প্রায় তিন কোটি টাকা প্রথম পর্যায়ে খরচ হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ের আরও অর্থের প্রয়োজন।
এদিকে আগামী জুন মাসে বক্সা ফোর্টের দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলে তা অনেকের কাছেই খুশির খবর। আর বর্ষাকাল মানেই আরও সবুজ হয়ে উঠবে চারপাশে পাহাড়। আর তার মাঝেই পায়ে চলা পাহাড়ি পথ। যাবেন নাকি?