ইদের ছুটি। উইক এন্ড। আর তার সঙ্গে স্কুলে মাস দেড়েকের গরমের ছুটি। তার উপর পরীক্ষার শেষ। আর যাদের পায়ের নীচে সর্ষে তাদের আর পায় কে? পাহাড়ে, ডুয়ার্সে বেড়াতে যাওয়ার যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, হোটেল, রিসর্টে একেবারে ঠাসা বুকিং। ঠাঁই নেই অবস্থা। সেক্ষেত্রে আচমকা পরিবার নিয়ে চলে না এসে আগাম বুকিং করেই তারপর পাহাড়ে ডুয়ার্সে বেড়াতে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
পাশাপাশি চিরাচরিত হোটেলের বাইরেও অফবিট জায়গাগুলোতে প্রচুর হোমস্টে তৈরি হয়েছে। সেখানে বুকিং করে চলে যান। নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসতে পারেন কয়েকটি দিন। প্রচুর ঠিকানা পেয়ে যাবেন ইন্টারনেটে। তবে এক্ষেত্রে জেনে নেবেন অ্যাডভেঞ্জার পর্যটনের আওতায় জায়গাটা হলে কতটা হেঁটে স্পটে পৌঁছতে হবে। বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়াটা কি নিরাপদ?
এদিকে সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসে সিংহভাগ বেসরকারি বাংলোর বুকিং পুরো ফুল ছিল। আর মে মাসের শুরুতে একেবারে উপচে পড়া ভিড়। মেটেলি, মূর্তি, চালসা ভিউ পয়েন্ট, সামসিং সুলতালেখোলা, রকি আইল্যান্ড সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে একেবারে যেন মেলা বসে গিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করছেন ডুয়ার্সে, পাহাড়ে।
বর্তমানে ডুয়ার্সের আবহাওয়া অনেকটাই মনোরম। পাহাড়ে তো ঠান্ডা। সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের হাঁসফাঁস গরম থেকে বাঁচতে অনেকেরই টান থাকে পাহাড় ডুয়ার্সের প্রতি। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, গোটা মে মাস জুড়েই অধিকাংশ হোটেল বুকিং থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আগাম বুকিং করেই বেড়ানোর প্ল্যান করা ভালো। তবে বর্তমানে দার্জিলিং, লাটাগুড়ির মতো চেনা ঠিকানার বাইরেও প্রচুর অফবিট জায়গা থাকে। সেখানেও যেতে পারেন পরিকল্পনা করে।