বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে ডুয়ার্স মানেই একেবারে পর্যটকে ভরপুর। কিন্তু বর্ষায় যেন ডুয়ার্সের একেবারে অন্য রূপ। নিরিবিলি, নির্জন। সদ্য স্নান করে ওঠা সুন্দরী ডুয়ার্স। তবে বর্ষায় বন্য জীবজন্তুর প্রজননের কারনে জঙ্গল বন্ধ থাকে ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে ডুয়ার্সের জঙ্গল। তবে মেদলার ওয়াচটাওয়ার এতদিন খোলা থাকত। মূলত মোষের গাড়িতে চেপে জঙ্গলঘেরা রাস্তা দিয়ে যেতেন পর্যটকরা। কিন্তু এবার সেটাও বন্ধ। বর্ষায় এই মেদলার টানেই ছুটে আসতেন পর্যটকরা। কিন্তু সেই মেদলা ওয়াচ টাওয়ারও এবার বন্ধ করে দেওয়া হল।
তবুও বর্ষায় অন্যভাবে প্রকৃতিকে দেখতে হলে, নির্জনে, নিরিবিলিতে দিন দুয়েক কাটানোর জন্য আপনার ঠিকানা হতেই পারে ডুয়ার্স। বর্ষায় তিন রাত্রি, চারদিনের জন্য মুর্তি-ঝালং, সুলতানিখোলার একটি ট্যুর প্যাকেজ রয়েছে। সেটা একবার দেখে নিতে পারেন।
লাটাগুড়ি থেকে ঝালং প্রায় ৩৬ কিমি দূরে। আর লাটাগুড়ি থেকে বিন্দুর দূরত্ব প্রায় ৪৭ কিমি। গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ঝালং ও বিন্দু। আবার বেলা শেষে ফিরে এলেন লাটাগুড়িতে। যাওয়ার সময় বর্ষায় স্নান করা চা বাগান, রাস্তার দুপাশে ঘন জঙ্গলের যে রূপ দেখবেন তাতে আপনার মনে দাগ কেটে যাবে বহু দিন।
শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৮ কিমির মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন। বাচ্চারা সঙ্গে থাকলে খুব আনন্দ পাবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২ কিমি।
নিউ জলপাইগুড়ি আর আলিপুরদুয়ারের মধ্যে ভিস্টাডোম ট্রেন রয়েছে। জঙ্গলের বুক চিরেই গিয়েছে সেই রেলপথ। জঙ্গল সাফারি বন্ধ তো কি হয়েছে! চেপে পডুন ভিস্টাডোমে। বৃষ্টি জলে ধুয়ে যাওয়া জঙ্গল মন ভালো করবেই আপনার। আর রিসর্টের বারান্দা থেকে বৃষ্টি দেখুন, আপনার মনে পড়বেই সেই মায়াভরা দু চোখ।