পুজোর ছুটিতে একেবারে গমগম করছে দার্জিলিং পাহাড়। আম বাঙালির চিরচেনা ডেস্টিনেশন। পাহাড়ের আনাচে কানাচে হাসি হাসি মুখে ঘুরছে ছাপোষা বাঙালি। আর তার সঙ্গেই ইতিউতি প্রশ্ন, আচ্ছা ডেলো পাহাড়টা কোন সাইড মে হ্যায় ? পুজোর ছুটিতে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েও আমবাঙালির আজও প্রশ্ন ওই যেখানে মিটিংটা হয়েছিল ওটা কোনদিকে?
আসলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় ২০১২ সালের মার্চ মাসে এই ডেলো পাহাড়েই সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়। পরবর্তী সময় এমনটাই দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এনিয়ে নানা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল সেই সময়। ২০১২ সালে এনিয়ে বোমা ফাটিয়েছিলেন বাম নেতা গৌতম দেবও।
তারপর তিস্তা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে।তবে আজও দার্জিলিং ম্যালে ঘুরতে এসে মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে সেই ডেলো পাহাড়়ের কথা। এতদূর এলাম আর ওটা না দেখেই চলে যাব ?
ডেলো পাহাড় না গেলে যেন বেড়ানো সম্পূর্ণ হবে না গেরস্থ বাঙালির। ডেলো পাহাড় তো নয়, যেন চাঁদের পাহাড় দর্শন করতে যাচ্ছেন আমবাঙালি। তবে এ তো শুধু পাহাড় দেখা নয়, ওই ডেলো টুরিস্ট লজের ছবিটাও একবার তুলে আনা। অনেকে আবার লজে গিয়ে মুখ ফস্কে বলেও ফেলছেন, দাদা কোন ঘরমে ওই মিটিং হুয়া থা? অনেকে নাকি মিটিং হলের সোফায় বসে সেলফিও তুলে নিচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই ক্যাপশন, এখানেই ওই মিটিংটা।
আসলে সারদার কৃপায় রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে কালিম্পংয়ের ডেলো পাহাড়। টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখে যেমন জীবন ধন্য় হয়ে যায় অনেকের, তেমনি ডেলো পাহাড়ের ওই মিটিং হল দেখলে যেন পাড়ায় ফিরে আরও কদর বাড়ে রাজনীতি প্রিয় আম বাঙালির।
তবে ডেলো শুধু ওই মিটিংয়ের জন্য নয়, পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, ৫৫৯০ ফুট উচ্চতায় থাকা ডেলো পাহাড়়ের আলাদা সৌন্দর্য আছে। রেলি উপত্যকা, তিস্তা নদী এই পাহাড় থেকেই দেখা যায়। সুন্দর একটা পার্কও আছে। পশ্চিম সিকিমের পাহাড়ও দেখা যায় এখান থেকে। রোদ মাখা দিনে এখানে ঘুরে যান। মন ভালো হয়ে যাবে। আর উপরি পাওনা ওটা তো আছেই। রসিকতা করতে ছাড়ছেন না ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি।