টুপটাপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আর উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি। আর বৃষ্টি মানেই সবুজে ঘেরা উত্তরবঙ্গ যেন আরও সুন্দরী হয়ে ওঠে। এই বৃষ্টির দিনে মন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ডুয়ার্সের মূর্তি। বর্ষাকাল মানেই আরও মোহময়ী, রূপবতী হয়ে ওঠে মূর্তি পর্যটন কেন্দ্র।
এনজেপি স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে যান মূর্তি। এনজেপি থেকে মূর্তির দূরত্ব প্রায় ৭০ কিমি। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেও গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন ডুয়ার্সের মূর্তিতে। বাগডোগরা থেকে মূর্তি প্রায় ৮০ কিমি দূরে। মূর্তি নদীর ধারে একেবারে নিরিবিলি নিরালায় কাটিয়ে আসতে পারেন দিন দুয়েক।
এখনও সেভাবে জল বাড়েনি মূর্তি নদীতে। নদীর তিরতিরে জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। মন ভালো হয়ে যাবে। কাছেই গরুমারা আর চাপরামারির জঙ্গল। কিন্তু বর্ষার দিনে বন্ধ থাকে জঙ্গল। এই সময়টা বন্য জীবজন্তুর প্রজনন ঋতূ। সেকারনে জঙ্গল বন্ধ থাকে। সেকারনে পর্যটকদের আনাগোনাও কম থাকে। আর এই নির্জনতাই সঙ্গী হতে পারে আপনার। রিসর্টের বারান্দা থেকে তাকিয়ে দেখুন, বৃষ্টিতে স্নান করছে সুন্দরী ডুয়ার্স।
দুপাশে জঙ্গল। মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে পিচঢালা রাস্তা। ওপরে সবুজের ছাউনি। সন্ধ্যা হলে নিঝুম চারপাশ। শুনতে পাবেন নদীর জলের শব্দ। বাইরে বৃষ্টি। এক অন্য়রকম অনুভূতি হবে আপনার।
একাধিক হোটেল রয়েছে মূর্তি সংলগ্ন এলাকায়। পর্যটন দফতর ও রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের নিজস্ব লজ রয়েছে। থাকার জন্য় ওই লজ বুক করতে পারেন। একাধিক বিলাসবহুল হোটেলও হয়েছে। সুইমিং পুলও রয়েছে হোটেল চত্বরে।
গত মাসে মূর্তি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক সহায়তা কেন্দ্রও চালু হয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের ঘুরতে এসে কোনও সমস্যা হলে এই সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।