বাংলায় বিজেপির ফল তলার দিকে নেমেছে। তারপরও এবার এনডিএ সরকারে বাংলা থেকে দু’জন সাংসদকে প্রতিমন্ত্রী করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু বাবা মন্ত্রী হলে তো মেয়ের থেকে দূরে চলে যাবেন। বাবাকে মিস করবে মেয়ে। তবে তারপরও বাবার মন্ত্রী হওয়ার খবরে খুশি সুকান্ত মজুমদারের কন্যা সৃজা মজুমদার। এমনকী বাবাকে আগামীদিনে আরও বেশি মানুষের কাজ করার জন্য বাবাকে শুভেচ্ছা জানাল মেয়ে। আর সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল জানালেন, স্বামীকে মিস করছেন তিনি।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী শপথ নিলেও এই সরকার সংখ্যালঘু। কারণ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শরিক নিয়ে তৈরি হয়েছে এনডিএ সরকার। আর বাংলা থেকে ১২টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। তাই দুটি প্রতিমন্ত্রী বাংলা থেকে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একজন প্রতিমন্ত্রী হলেন সুকান্ত মজুমদার। যিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। এই মন্ত্রী হয়ে নয়াদিল্লি চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের কন্যা সৃজা মজুমদার বলেছে, ‘আমি খুব খুশি। তবে বাবা আরও দূরে চলে যাচ্ছে। তাই খারাপ লাগছে। আমি চাই বাবা সব মানুষের পাশে থেকে কাজ করুক।’ আর সুকান্তের স্ত্রী কোয়েল মজুমদার জানান, স্বামীর কাছ থেকেই এই সুখবর পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘তাঁরা মনে হয় অতীতটা জানেন না’, নাম না করে দিলীপ ঘোষকে ঠুকলেন শুভেন্দু অধিকারী
আরএসএস থেকে এসে ২০১৯ সালে প্রথমবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। জিতেছিলেন। পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বালুরঘাট আসন থেকেই লড়াই করেন সুকান্ত মজুমদার। এবারও জিতেছেন। রাজনীতিতে আসার আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন সুকান্ত বটানি নিয়ে। তারপর অধ্য়াপনাও শুরু করেন তিনি। বটানির অধ্যাপক। তবে বালুরঘাট আসন থেকে জয় পাওয়ার পর থেকেই তিনি রাজ্য–রাজনীতির আলোচনায় উঠে আসেন। তাঁর জমানায় বিজেপি বাংলায় বিরাট সাফল্য পেয়েছে সেটা কিন্তু নয়। তবে নিজের আসন ধরে রেখেছেন ঘাসফুল ঝড়েও।
নয়াদিল্লিতে এখন সুকান্ত মজুমদার ব্যস্ত থাকবেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা পদেও পরিবর্তন আসতে পারে। আর সুকান্ত মজুমদার পেতে পারেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ। তবে তা যাইহোক বালুরঘাটের মজুমদার পরিবারে এখন খুশির হাওয়া। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের বক্তব্য, ‘আমার খুব ইচ্ছে ছিল শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার। কিন্তু এত অল্প সময়ে সবটা হয়েছে যে, আমি দুই সন্তানকে নিয়ে যেতে পারলাম না। কিন্তু আমি খুব খুশি। ও এই দায়িত্ব পালন করুক। মানুষের পাশে থাকুক, এটাই চাই।’