পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া দফতরের। ইয়াসের তাণ্ডব সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। এরপরই ইয়াস তাণ্ডব চালাতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও। এব্যাপারে আগাম সতর্ক ছিল পুলিশ, প্রশাসন। মোতায়েন ছিল এনডিআরএফ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকায়। সেই হাওয়ার সঙ্গেই দোসর হয়েছে বৃষ্টি। নদীর জলস্তরও বাড়তে থাকে ক্রমশ। নদীবাঁধ উপচে লোকালয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। কুলপি ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করে। একের পর এক বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যায়। কাঁচা বাড়ির নীচের অংশগুলি জলের তোড়়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কুলপির মশামারি গ্রামে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। আতঙ্কে বাসিন্দারা পাকা বাড়ির ছাদের উপর উঠে পড়েন। বাড়ির অর্ধেক অংশ জলের নীচে ডুবে যায়। রাস্তার উপর দিয়ে জলের স্রোত বইতে থাকে। একেবারে অভুক্ত অবস্থায় বাড়ির ছাদে আটকে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁদের উদ্ধার করতে নামে এনডিআরএফ।
ছাদ থেকে একের পর এক মানুষকে নামিয়ে একেবারে কাঁধে চাপিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান এনডিআরএফের জওয়ানরা। শিশুদেরও কোলে করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন এনডিআরএফের উদ্ধারকারী জওয়ানরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি জায়গায় নদী বাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন।