সর্বভারতীয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) রাজ্যের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করলেন বাঁকুড়ার ছেলে সৌম্যজিৎ হালদার। সারা দেশের নিরিখে মেধা তালিকায় ১৯ তম স্থান পেয়েছেন তিনি। তবে রাজ্যের মধ্যে সৌম্যজিতই প্রথম। স্বভাবতই খুশির হাওয়া সৌম্যজিতের পরিবারে।
ছোটোবেলা থেকেই বাবার ওষুধ দোকানে বিভিন্ন চিকিৎসকদের আসতে দেখতেন সৌম্যজিৎ। তখন থেকেই নিজে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র ছিলেন সৌম্যজিৎ। ২০১৯ সালে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৫.৬ শতাংশ নম্বর পান সৌম্যজিৎ। চলতি বছরই নিট পরীক্ষায় বসেছিলেন সৌম্যজিৎ। সেই ফলাফল অনুযায়ী, ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৯ তম স্থান পান তিনি। বাঁকুড়া সোনামুখীর শ্যামবাজার এলাকার বাসিন্দা সৌম্যজিৎ হালদার। তাঁর সাফল্যে একদিকে যেমন খুশি পরিবারের সদস্যরা, তেমনই খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।
এই প্রসঙ্গে সৌম্যজিৎ জানান, ‘দিল্লির এইমস থেকে এমবিবিএস করে রেডিয়োলজি নিয়ে পড়তে চাই। রেডিয়োলজি বিষয়টি আমার খুব প্রিয়। আগামিদিনে রেডিয়োলজি বিশেষজ্ঞ হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।’ ওষুধের ব্যবসায়ী বাবা চন্দ্রভানু হালদার জানিয়েছেন, ‘ওষুধের ব্যবসা হওয়ার সুবাদে খুব কাছ থেকে অনেক ডাক্তারবাবুদের দেখে এসেছি। মনে মনে খুব ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ডাক্তার করব। আজ আমার সেই স্বপ্নই সফল হল।’