রাস্তায় ফেলে মহিলাকে বিবস্ত্র করা এবং তারপর মারধর করার অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনায় অপমানের জেরে আত্মহত্যা করলেন ওই মহিলা। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটার পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে বধূকে হুমকি দিচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী মমতা সরকার এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সেই ঝামেলা চরমে উঠলে মারধরের পর্যায়ে পৌঁছয়। মৃতা নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। মৃত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পানিহাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পরিবারের দাবি, সোমবার মারধর করার সময় মহিলার পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বধূর। আর ওই অবস্থাতেই মারধর করা হয়েছে গৃহবধূকে। সেই লজ্জায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কেমন করে এই ঘটনা ঘটল? এখন তার তদন্ত শুরু করেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বধূকে হুমকি দেয় বিজেপি কর্মী মমতা সরকার। মৃতের স্বামীর দাবি, সোমবারের ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে জানতে পারেন স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিবেশী দলবল নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন।
আরও পড়ুন: ‘আপনারা কি নিজেদের ভগবান মনে করেন?’ বন দফতরকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনার বিবরণ শুনে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসে ছিলেন স্বামী। তার পর এমন ঘটনা ঘটায় পুলিশ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বামীর দাবি, সোমবার রাতের ওই ঘটনার জেরেই স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ওই প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। আগেও নানা সময়ে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিবেশী দলবল নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন। বাড়ি সংলগ্ন দু’কাঠা জমি আছে। ওই জমিকে কেন্দ্র করেই তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশী পরিবারের ঝামেলা।
এছাড়া মৃত বধূর স্বামীর দাবি, আক্রমণকারীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারা বধূর উপর অত্যাচার করে। প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেয়। তাতে বিবস্ত্র হয়ে পড়ে স্ত্রী। সেটা সবাই দেখেন। এটাই সহ্য করতে পারেনি। লজ্জায় চরম পথ বেছে নিয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনা জানার জন্য এক প্রতিবেশীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ।