অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল সদ্যোজাতের। অভিযুক্ত খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল। পয়সা দিয়েও অক্সিজেন পেলেন না শিশুটির পিতা। হাসপাতালের সুপার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শনিবার রাতে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন সারিনা বিবি। রবিবার সকালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পরই অক্সিজেনের অভাবে ভুগতে শুরু করে শিশুটি। চিকিৎসক জানান টাকা জমা করলে তবে মিলবে অক্সিজেন। ছুটে গিয়ে হাসপাতালে ১,০০০ টাকা জমা দেন শিশুর বাবা। ততক্ষণে শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি হয়। শিশুটিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। জোগাড় করা হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু তাতে ছিল না অক্সিজেনের ব্যবস্থা।
সন্তানকে নিয়ে যেতে হাসপাতালের কাছে অক্সিজেন চান বাবা। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডার দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল। এর পর অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। চোখের সামনে সদ্যোজাতকে শেষ শ্বাস নিতে দেখেন পিতা।
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুটির পরিজনরা। কেন টাকা জমা করেও অক্সিজেন মিলল না প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। শুরু হয় বিক্ষোভ।
শিশুর বাবা বলেন, ‘আমি দেখলাম ছেলের অবস্থা ভাল না। ডাক্তারবাবুকে বললাম ওকে একটু অক্সিজেন দিন। কিন্তু কেউ কথা শুনলো না। চোখের সামনে মারা গেল আমার ছেলে।’
এই নিয়ে হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সদ্যোজাত শিশুকে অক্সিজেন দিয়ে স্থানান্তরের কোনও নিয়ম নেই। শিশুটিকে দ্রুত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লেগেছে। সন্তানহারা পিতার শোক বুঝি। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো।’