বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > মহিলার প্রসব যন্ত্রণা এড়িয়ে মোবাইলে বুঁদ নার্স, জন্মেই মেঝেতে পড়ল সদ্যোজাত

মহিলার প্রসব যন্ত্রণা এড়িয়ে মোবাইলে বুঁদ নার্স, জন্মেই মেঝেতে পড়ল সদ্যোজাত

ছবিটি প্রতীকী (ছবি-ইন্টারনেট)

মেঝেতে পড়ে যাওয়া সদ্যোজাত গুরুতর আহত অবস্থায় এখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই চিকিত্সাধীন রয়েছে।

একদিকে প্রসূতির আর্ত চিৎকার। অপরদিকে মোবাইলে ফোন নিয়ে ব্যস্ত চিকিৎসক ও নার্স। তাঁদের সাড়া না পেয়ে নার্স ছাড়াই প্রসব মহিলার। ফলে হাসপাতালের শয্যা থেকে পাথরের মেঝেতে পড়ল সদ্যোজাত। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসক ও নার্স গাফিলতিতেই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে নার্সের বিরুদ্ধে কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগ এনে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সদ্যোজাতের মা। এদিকে ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যে গাফিলতি প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও কোনও অভিযোগ হাসপাতালে জমা পড়েনি।

এদিকে মেঝেতে পড়ে যাওয়া সদ্যোজাত গুরুতর আহত অবস্থায় এখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই চিকিত্সাধীন রয়েছে। আইসিইউতে ভর্তি সেই শিশু। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী প্রসূতি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার অর্জুনপুকুর এলাকার বাসিন্দা। গত ৬ নভেম্বর তিনি প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

রোগীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, প্রসব বেদনা ওঠার সময় সেখানে কোনও চিকিৎসক বা নার্স কেউই ছিলেন না। এমনকি বারবার ডাকাডাকি করলেও কেউ আসেননি। সেই সময় নার্সরা নাকি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রসূতির অভিযোগ, সদ্যোজাত জন্মানোর পরও কেউ ছিলেন না তাঁর কাছে। সেই সময়ই শিশুটি আচমকাই শয্যা থেকে নিচে পড়ে যায়। গতকাল বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বন্ধ করুন