ফের সক্রিয় কামতাপুরী লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। কিছুদিন আগেই নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছেন তিনি। সেই কমিটিতে কোচ–রাজবংশী ছাড়াও অন্য ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছে। পাশাপাশি এই প্রথম সংগঠন শব্দটি উল্লেখ না করে পার্টি শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে একটি বিষয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি কেএলও রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে? এই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কেএলও–এর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩২ জন রয়েছে। কেএলও প্রধান জীবন সিংহের উপস্থিতিতে গত ১৫ থেকে ২০ জুন একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভা দেশের মাটিতে নাকি প্রতিবেশি দেশের মাটিতে হয়েছে সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে উত্তর–পূর্ব ভারতের মায়ানমার সীমান্তে একটি গোপন ডেরায় এই সভা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন জীবন সিংহ। এই প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটিতে দু'জন মহিলার নাম রয়েছে। নারী কল্যাণ বিভাগের সচিব ও সহসচিব করা হয়েছে উর্বশী কোচ ও মতেশ্বরী অধিকারীকে। কেএলও–এর দেওয়া লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কামতাপুরী মানুষকে একত্রিত করা ও পার্টির কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সংগঠনের মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন কৈলাস কোচ ও সহকারি মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন নৃপেন্দ্রনারায়ণ কোচ। পাশাপাশি সংগঠনের সামরিক বাহিনির যৌথভাবে উপসচিব হয়েছেন ক্যাপ্টেন সূর্য কোচ ও ক্যাপ্টেন হরেন্দ্র কোচ। কোচ–রাজবংশী সম্প্রদায়ের মুখ ছাড়াও অন্য জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেএলও–এর নতুন বাণিজ্য সচিব ও তার সহকারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহেশ মণ্ডল ও তাপস চক্রবর্তীকে। প্রশ্ন উঠছে, সংগঠনের মধ্যে এই নানান জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি কীসের ইঙ্গিতবাহী। তাহলে কি এর মাধ্যমে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইছে কেএলও।