রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে তৎপর হয়ে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী জোর দেওয়া হচ্ছে জনসংযোগে। আগে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি দেখেছে বাংলার মানুষ। এবার ডায়মন্ড হারবারে শুরু হচ্ছে নতুন এক কর্মসূচি। এক ডাকে অভিষেক বা এক ফোনে অভিষেক। তাই চালু করা হচ্ছে হেল্পলাইন নম্বরও। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে চালু করেছিলেন ‘ডায়মন্ড মডেল’। তাতে এসেছিল অভূতপূর্ব সাফল্য।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ, শনিবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর (৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭) চালু করছেন অভিষেক। যে কোনও সাহায্যের জন্য এই নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যাবে। সরাসরি ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষজনের সঙ্গে আরও নিবিড় যোগাযোগ গড়ে উঠবে। এমনকী নিজেও কথা বলতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? সূত্রের খবর, একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩ সালে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক ফোনে অভিষেক’। যে হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে পারবেন নিজের সমস্যার কথা। ‘দিদিকে বলো’ মডেলের মতোই এই ‘এক ফোনে অভিষেক’ চালু করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছে বিরোধীরা? এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এক ফোনে একলাখ ও দিদিকে বলো–কে মিলিয়ে কেউ কিছু নতুন করেছেন বলতেই পারেন। কিন্তু ডায়মন্ডহারবারের চিটফান্ডে যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের লাখ লাখ টাকা লোপাট হয়ে গেল তা তারা ফেরত পাবে তো?’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি একজন নির্বাচিত সাংসদ। তিনি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে একটি পদ্ধতি নিয়ে এসেছেন, যাতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। জনসংযোগের জন্য তিনি তা করতেই পারেন। কিন্তু আসলে তো এটি একটি পরিবারতান্ত্রিক দল।’