এখন শীত পড়েছে। মানুষজন এখন পিকনিক করতে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়ায় আরও একটি নতুন জেটি তৈরি করা হয়েছিল। গত ২৯ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সেই নয়া জেটির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নতুন জেটি উদ্বোধন হলেও এখনও তা চালু হয়নি। ফলে দুটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক, এটা চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দুই, পিকনিক করতে আসা মানুষজন আনন্দ নিতে পারছেন না।
এখানের বিষয়টি ঠিক কেমন? হুগলি, রূপনারায়ণ এবং হলদি নদীর সংযোগস্থলে বিখ্যাত পিকনিক স্পট গাদিয়াড়া। হাওড়া জেলার এই পর্যটন কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায়। তাই এখানে তিন জেলার বাসিন্দারা নদীপথে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করেন। গাদিয়াড়া ফেরিঘাট থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপূর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু আছে। এখানেই আর একটি নতুন জেটি গড়ে তোলা হয়েছে। যা চালু হয়নি।
সনস্যাটি ঠিক কোথায় হচ্ছে? সূত্রের খবর, এই নদীপথে রোজ গড়ে পাঁচ হাজার লোক যাতায়াত করেন। আর সারা বছর সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে বহু পর্যটক ভিড় জমান। তাই গাদিয়াড়া ফেরি সার্ভিস এবং হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি পরিবহণ দফতরকে একটি নতুন জেটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। সেই অনুযায়ী নতুন জেটি নির্মাণও হয়। কিন্তু এখনও সেটি চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। গাদিয়াড়ার পুরনো জেটি পরিচালনা করে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। নতুনটিও তাদেরই পরিচালনা করার কথা। কিন্তু নতুন জেটিঘাটের চাবি তাদের দেওয়া হয়নি। সমস্যাটি এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নচুন জেটি চালু হলে যাতায়াত অনেক মসৃণ হবে। এই বিষয়ে গাদিয়াড়া ফেরিঘাটের আধিকারিক উত্তম রায়চৌধুরী বলেন, ‘নতুন জেটি চালানোর জন্য এখনও কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এমনকী গেটের চাবিও দেওয়া হয়নি।’ আর নতুন জেটিঘাটের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ হচ্ছে। এছাড়া স্মার্ট গেটও বসানো হচ্ছে। তাই সেটি এখনই চালু করা যাচ্ছে না। শীঘ্রই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই তা চালু করা হবে।