বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘‌নির্বাচিত প্রতিনিধি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা করেন’‌, দুয়ারে বসলেন মন্ত্রী

‘‌নির্বাচিত প্রতিনিধি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা করেন’‌, দুয়ারে বসলেন মন্ত্রী

সৌমেন মহাপাত্র। ফাইল ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

শুধু অফিস খোলাই নয়, এখানে পালা বসবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

একুশের নির্বাচনে এখান থেকে জিতেছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি আগে সিপিআইএমের বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু বিধায়ক হলেও এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই মানুষের স্বার্থে এবার নতুন অফিস খুলল ঘাসফুল শিবির। শুধু অফিস খোলাই নয়, এখানে পালা বসবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

বিষয়টি ঠিক কী?‌ ঘটনাস্থল শিল্পশহর হলদিয়া। এখানের বিধায়ক বিজেপির তাপসী মণ্ডল। যাঁর কাছ থেকে হলদিয়ার মানুষ কোনও রাজনৈতিক–সামাজিক পরিষেবা না পেয়ে তমলুকে ছুটে যাচ্ছেন। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এই দাবি করেছেন। তাই হলদিয়াতে অফিস খুললেন তিনি। হলদিয়ার মানুষের সুবিধার্থে তাঁদের ঘরের কাছেই অফিস খুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই বসবেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।

কোথায় সেই অফিস?‌ হলদিয়া পৌরসভার ভিতরেই একটি ঘরে করা হয়েছে তমলুকের বিধায়ক ও মন্ত্রীর অফিস। মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সেখানে প্রতি শনিবার বসবেন। হলদিয়ার মানুষকে সবরকম সুযোগ–সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানান সৌমেন মহাপাত্র। শুধু হলদিয়ার মানুষই নন, যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পদে আসীন হননি সেইসব বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষও পরিষেবার জন্য এই অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারবেন। হলদিয়ার মানুষকে তমলুক, মহিষাদলে পরিষেবার জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে। এবার থেকে তা আর করতে হবে না।

ঠিক কী বলেছেন সেচমন্ত্রী?‌ এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‌আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। তাঁদের দ্বারা আমরা নির্বাচিত হয়েছি। আমি প্রতি শনিবার করে এখানে বসব। শুধু আমি নই, মন্ত্রী অখিল গিরিও বসবেন। যাতে এই এলাকার মানুষকে তমলুক বা মহিষাদল বা অন্যত্র ছুটে যেতে না হয় তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। জনগণের কথা ভেবে আমরা তমলুক সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব বিধানসভায় আমাদের মনোনীত প্রার্থীরা বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেননি, সেইসব জায়গার মানুষেরাও পরিষেবা পাওয়ার জন্য আমাদের দ্বারস্থ হচ্ছে। তাই আমরা সারা বিধানসভার মানুষকেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিধায়ক হিসেবে এখানে আসব। কারণ এখানকার যাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি তাঁরা রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা করেন। তাই তাঁরা সাধারণ মানুষকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।’‌

বন্ধ করুন