দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে সুখবর শোনাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দেউচা–পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজে আরও দুটি বিষয় যুক্ত করল রাজ্য সরকার। অক্টোবর মাস থেকে আরও ২৫০ জন চাকরিপ্রার্থী আর্থিক সুবিধা পাবেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত রাজ্য সচিব এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে জমি দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন তাদের বয়স যদি ১৮ বছর না হয়, তাহলে ১৭ বছর বয়স থেকে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। আর যাঁদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির সব শর্ত পূরণ হচ্ছে না, তাঁদের চতুর্থ শ্রেণির করণিক হিসাবে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। উৎসবের মুখে এই খবরে আপ্লুত গ্রামীণ মানুষজন।
দেউচা–পাঁচামির মানুষজন কী খুশি? এখানের মানুষজন এই খবর পেয়ে যথেষ্ট আপ্লুত। তাঁরা বলছেন, এটা ঘটবে ভাবিনি। দুর্গাপুজোর সময় এমন দুটি প্যাকেজ গোটা মহম্মদবাজারে আনন্দ বয়ে নিয়ে এসেছে। এখন এখানের দুর্গাপুজোও রঙিন হয়ে উঠেছে। দেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্পের জন্য দু’বছর আগে পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জমি দিয়ে আনেকেই চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আর এই দুটি প্যাকেজ তাঁদের আরও উৎসাহ জুগিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখানে জমি দেওয়ার শর্ত অনুযায়ী ৪০০ জনকে জুনিয়র কনস্টেবলের জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৩৫৪ জন এখন ব্যারাকপুরে পুলিশের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আর যাঁদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শারীরিক সক্ষমতা নেই, তাঁদের সরকারি পদে কাজ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির করণিক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়ম কী আনা হচ্ছে? যাদের এখনও ১৮ বছর হয়নি তাদের জন্য নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হচ্ছে। ১৭ বছর বয়স থেকে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্য সরকার এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেবে। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত জমি দেওয়ার শর্ত পূরণ করে ৯টি পর্যায়ে নাম পাঠানো হয়েছে। দুর্গাপুজোর পরেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে নতুন সংযোজিত আইনে আমরা চাকরিপ্রার্থীদের অর্থ সাহায্য করতে পারব।’