এতদিন কাঁথিতে একটি জনপ্রিয় মেলা হতো। সেটা তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে নিজেদের দখলে রেখেছিল অধিকারী পরিবার। তাই তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ছবি ঢাউস করে ব্যানার–ফেস্টুনে দেওয়া থাকত। তার ফলে যাঁর আদর্শকে সামনে রেখে এই মেলা তিনি ব্রাত্যই থেকে যেতেন পোস্টারে। স্রেফ নিয়ম রক্ষার্থে তাঁর একটা ছবি এক কোণায় পড়ে থাকত। আর পোস্টার জুড়ে শুধুই দেখা যেত অধিকারী পরিবারের বাবা এবং তিন ছেলের ছবি। এবার আবার বসছে সেই মেলা। পোস্টারে পোস্টারে এখন ছয়লাপ অবস্থা। কিন্তু এবারে অধিকারীদের নামগন্ধও নেই ওই পোস্টারে। এবার অনেকটা বেশি জায়গা দেওয়া হয়েছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে? পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী মেলা দারুয়া গান্ধী স্মৃতি প্রদর্শনীর পোস্টার ঘিরে কাঁথি শহরে জোর চর্চা শুরু করেছে। এটা অরাজনৈতিক মেলা হলেও চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এখানে অনেকে রসিকতা করে বলেন, ‘পোস্টার থেকে অধিকারীদের ছেঁটে ফেলায় গান্ধীজি একটু বেশি জায়গা পেয়েছেন। লাঠি হাতে কাঁথির দিকে এগিয়ে আসছেন। এটাই বা কম কিসের।’ এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গান্ধী স্মৃতি প্রদর্শনী আয়োজক দারুয়া জনকল্যাণ সংঘ।
এদিকে রাজ্যের নানা মেলার মধ্যে দারুয়া গান্ধীস্মৃতি প্রদর্শনী মেলা অন্যতম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এত বড় মাপের মেলা অন্য কোথাও হয় না। এবার ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের শুরু হতে চলেছে গান্ধী স্মৃতি প্রদর্শনী মেলা। পুরনো পোস্টার এবং নতুন পোস্টারকে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অনেকেই। তারপর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৭ সালের পোস্টারে অধুনা বিরোধী দলনেতা তথা তৎকালীন রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, কাঁথির সংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর ছবি ছিল। আর ২০২৩ সালের পোস্টারে সে সব উধাও। বরং পরিবর্তে গান্ধীজির বিগ সাইজের ছবি জায়গা পেয়েছে। বিজেপির এখন যাঁরা এই জেলায় হেভিওয়েট তাঁদের নামও রাখা হয়নি। এই বিষয় নিয়ে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক আকতার আলি খান। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘গান্ধীজীর আদর্শ বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। তাতে যদি কাঁথির উত্তেজনা কিছুটা কমে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup