দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলেছে রাজ্যের স্কুলগুলি। সেখানে চলছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে নয়া নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু তা রাজ্যের সর্বত্র জানতে পারেনি পড়ুয়ারা। তাই সোমবার অনেকেই (নবম ও একাদশ শ্রেণির) স্কুলে পৌঁছয়ে যায়। অথচ তখন তাদের ক্লাস ছিল না। সুতরাং তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি জেলার পড়ুয়াদের স্মার্টফোন না থাকায় নতুন সময়সূচি জানতে পারেনি। তাই তারা স্কুলে পৌঁছে যায় আগের সময়মতো। তখন তাদের নতুন নিয়ম বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। আবার অনেক শিক্ষক জানান, এই নয়া সূচি আগে পেলে ভালো হতো। পড়ুয়ারা জানতে না পেরে স্কুলে চলে এসেছিল। তবে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্কুলে আসার নতুন নির্দেশিকা সঠিক সময়ে হাতে না পাওয়ায় ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হয়। যদিও স্কুলগুলি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জানিয়েছিল। কিন্তু তা অনেকের কাছে পৌঁছয়নি। তবে দেখা গিয়েছে, হবিবপুরের আইহো হাইস্কুলের পক্ষ থেকে মাইকে নতুন নির্দেশিকা প্রচার করা হচ্ছিল।
এদিকে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের দাবি, নয়া নির্দেশিকা পরে হাতে এসেছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাসঘর এবং শিক্ষক রয়েছে। তাই সেখানে রোজ ক্লাস করার পরিকল্পনাও করছেন সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় ছেলেমেয়েদের পাঠাচ্ছেন না কিছু অভিভাবক। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের চিহ্নিত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করে এবং বুঝিয়ে স্কুলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা।