গায়ের রং ‘কালো’ বলে আরও পণের দাবিতে নববধূকে নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। শাবল – লাঠি দিয়ে মারধরের পাশাপাশি গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বধূ। এমনকী তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকার সামন্তেরচক গ্রামের। অভিযোগ পেয়ে বধূর স্বামী প্রত্যূষ গুছাইতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত অগাস্ট মাসে গ্রামেরই ছেলে প্রত্যূষের সঙ্গে বিয়ে হয় তরুণীর। বিয়েতে ২ লক্ষ টাকা পণ দেন তরুণীর বাবা। সঙ্গে দেন আনুসাঙ্গিক নানা জিনিসপত্র। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই বধূর ওপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। বধূ জানিয়েছেন, রোজই নানা কারণে মারধর করা হতো তাঁকে। সঙ্গে জানানো হতো টাকার দাবি। সম্প্রতি তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে ৩০ হাজার টাকা আনতে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাতে রাজি না হওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে।
অভিযোগ শুক্রবার অত্যাচার সব সীমা ছাড়ায়। দুপুরে ওই বধূ স্নান সেরে বেরোলে তাঁকে ফের স্নান করতে বলেন স্বামী। কারণ জানতে বলেন, ‘তোর গায়ের রং কালো। গায়ে ময়লা। গা থেকে গন্ধ বেরোয়।’ দ্বিতীয়বার স্নান করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় নির্যাতন। লাঠি ও শাবল দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দেওয়া হয় গরম রডের ছ্যাঁকা। বধূ জানিয়েছেন, তাঁর গায়ের রং পছন্দ না হওয়ায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে ও পুকুরে ডুবিয়ে মারা চেষ্টা করেছে প্রত্যূষ।
শুক্রবার মেয়ের ওপর নির্যাতনের খবর পেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন বধূর বাবা। এর পর অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে।
বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বধূর দেহে নির্যাতনের একাধিক ক্ষত রয়েছে। লাগাতার নির্যাতনে ট্রমার মধ্যে রয়েছেন তিনি। স্বামীর গ্রেফতারির খবরে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন নির্যাতিতা।