ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। আর এবার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের মামলায় তৎপর হল এনআইএ। আজ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় পৌঁছন এনআইএ’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই মামলায় আগেই এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে ডিভিশন বেঞ্চও এনআইএ তদন্তের বিষয়টি বহাল রাখে। এদিন এনআইআয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী খুনের পরেও করা হয়নি FIR, পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির
প্রসঙ্গত, ময়নার বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হয়েছিলেন ২০২৩ সালের মে মাসে। অভিযোগ উঠেছিল তাকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এরপর তাকে খুন করা হয়। তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় ময়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজয়ের পরিবারের লোকজন। কিন্তু, অভিযোগ পুলিশ ঠিকমতো ঘটনায় তদন্ত করেনি। এরপরেই সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পরে ডিভিশন বেঞ্চ ও এনআইএ অদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় ৩৬ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল। তাদের সকলেই তৃণমূল নেতা। নিহত বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীর অভিযোগ, তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দুইল ও তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহান এই ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী।
এদিকে, এর আগের দিন কাঁথি গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। ২০২১ সালের ৩০ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণের আগে কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলিতে জনমেজয় দোলুই নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। প্রথমে জনমেজয়কে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করে এক সিপিএম কর্মী মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে বিজেপির দাবি জনমেজয় তাদের দলের নেতা ছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিজেপি নেতার খুনের ঘটনার তদন্তে এর আগের দিন সিবিআই এসেছিল।