ভিক্ষুকের বাড়িতে NIA হানাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের হলদিবাড়িতে। সোমবার সকালে হলদিবাড়ি পুর এলাকায় রাখী বর্মন নামে এক মহিলার বাড়িতে তল্লাশি চালান NIAর গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাখীদেবীর টিনের ঘর ঘিরে ফেলে চলে তল্লাশি। NIAএর দাবি, রাখী বর্মনের ছেলে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশি ইসলামিক চরমপন্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার চক্রে যুক্ত।
আরও পড়ুন - কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর বিসর্জনের আগেই দাউ দাউ করে আগুন ক্লাবে, মৃত ১
পড়তে থাকুন - উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং, ডাকার পরেও এলেন না ১৪৪জন, চাকরি নিতেও অনীহা!
সোমবার সকালে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে হলদিবাড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাখী বর্মনের বাড়িতে হাজির হন NIAএর তদন্তকারীরা। রাখী বর্মন পেশায় ভিক্ষুক। মাস কয়েক আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। ছেলে বিশ্বজিৎ কেটারিংয়ের কাজ করেন বলে জানালেন স্থানীয়রা। বাড়ি বলতে তাঁদের ছোট্ট একটা টিনের চালাঘর। সেই ঘরই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এর পর রাখী বর্মনকে নানা প্রশ্ন করেন NIAএর আধিকারিকরা। দেখতে চান বিভিন্ন নথি। বেশ কয়েকটি কাগজে সই করতে বলা হয় রাখী বর্মনকে। এর পর এলাকা ছাড়েন তাঁরা।
NIAএর দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকার ছেলে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশের চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যদের সীমান্ত পার করানো ও ভারতে থাকার ব্যবস্থা করার সঙ্গে যুক্ত। জাল নথি বানিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গিদের ভারতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। যদিও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিশ্বজিৎ সাদাসিধে ছেলে। বিভিন্ন জায়গায় কেটারিংয়ের কাজ করে বেড়ান ওই যুবক।
আরও পড়ুন - ভাসান দেখে ফেরার সময় মারধরে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৩, অধরা মূল অভিযুক্ত
NIA আধিকারিকরা যাওয়ার পর রাখী বর্মন বলেন, পুলিশ আমার কাছে ছেলের ব্যাপারে জানতে চাইছিল। তার পর ওর বাবার ব্যাঙ্কের বই দেখতে চায়। আমি সব দেখিয়েছি। আমাকে কয়েকটা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, হলদিবাড়ির মতো প্রত্যন্ত ও শান্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা কল্পনাতীত। যুবক সত্যিই জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত বলে মানতে নারাজ তাদের অনেকেই। NIAএর তল্লাশির পর ২৪ ঘণ্টা কাটলেও খোঁজ নেই বিশ্বজিতের।