নিষিদ্ধ পাক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগের সন্দেহে হুগলির আরামবাগে এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালাল NIA. আরামবাগের সানাপাড়ায় সাবিরউদ্দিন আলির বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। তবে যুবক বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি পরিবারের। সন্দেহভাজনকে NIA দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
শুক্রবার সকালে আরামবাগের প্রত্যন্ত সানা পাড়ায় হাজির হন NIAএর বেশ কয়েকজন আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সাবিরউদ্দিন আলির বাড়ি কেথায় স্থানীয়দের কাছে তা জানতে চান তাঁরা। স্থানীয়দের পথ নির্দেশ মতো তাঁরা হাজির হয়ে যান সেই বাড়িতে। এর পর বাড়ির লোকেদের কাছে সাবিরউদ্দিন কোথায় তা জানতে চান। বাড়ির লোকেরা তাদের জানান, সাবিরউদ্দিন বাড়িতে নেই। তিনি অন্যত্র কর্মরত। বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে সাবিরউদ্দিনকে কলকাতায় NIA দফতরে হাজিরা দিতে বলে যান আধিকারিকরা।
NIA সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সাবিরউদ্দিন জৈশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে তার। এই ঘটনায় একসঙ্গে দেশের ৮ রাজ্যে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। তার মধ্যে রয়েছে অসম, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যও। কাশ্মীর উপত্যকার বাইরে জৈশের এক বাড়বাড়ন্ত চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের।
তবে, সাবিরউদ্দিন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তা মানতে পারছেন না স্থানীয়রা। তারা বলেন, যুবক বাইরে বাইরে কাজ করলেও এলাকায় খুবই শান্ত ছেলে হিসাবে পরিচিত। কারও চোখে চোখ রেখে পর্যন্ত কথা বলে না। সম্ভবত বাইরে থাকার সময়ই চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাঁর। মুসলিম অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকায় NIA পৌঁছে যাওয়ায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত যুবক সত্যিই জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হলে তার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।