তখনও ঘরের আলো জ্বালানো হয়নি। কিন্তু এক কর্মী দরজা খুলেই বুঝতে পেরেছিলেন কারও উপস্থিতি ঘটেছে এখানে। তবে কার উপস্থিতি ঘটেছে সেটা ঠাওর করতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় কোনওরকমে ঘরের আলো জ্বালতেই চক্ষু চড়কগাছ। কারণ তখন ঘরে দেখা মিলল বিরাট পাইথনের। অপেক্ষা করছিল যেন তাঁদের জন্যই। এই দেখে চিৎকার জুড়ে দেন ওই কর্মী।
এই হুলুস্থূল কাণ্ড ঘটেছে দুর্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট অফিসে। যা ভাবতেই পারছেন না অফিসের কর্মীরা। আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। তাই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই অফিস থেকে কিছু দূরেই একটি জঙ্গল রয়েছে। সম্ভবত সেখান থেকেই পাইথনটি এখানে ঢুকে পড়ে। এখন শীত পড়েছে। তাই খাবার খুঁজতেই এখানে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিরাট পাইথন দেখতে ট্রান্সপোর্ট অফিসে ভিড় জমে যায়। এলাকার মানুষজন এখানে ভিড় জমান। তখন খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। সেখান থেকে আসেন আধিকারিকরা। সাপটিকে উদ্ধার করে উখড়া বন দফতরের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ট্রান্সপোর্ট অফিস অন্ডাল থানার অন্তর্গত দু’নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে।
অনেকেই এই পাইথনের ছবি স্মার্টফোনে তুলে রাখেন। বন দফতর উদ্ধার করলে সবাই কাছে গিয়ে দেখতে যান। কিন্তু ৯ ফুটের পাইথন এখানে কি করে এলো তা খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। এই ধরণের পাইথন খুব কম দেখা যায় লোকালয়ে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আগেও একবার এই এলাকায় সাপ দেখা গিয়েছিল।