NIT Durgapur: গবেষণার সময় দুর্গাপুর NIT-এর ল্যাবে বিস্ফোরণ, ঝলসে মৃত্যু অধ্যাপকের

ঘটনাটি ঘটেছিল পয়লা বৈশাখের দিন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে থার্মিট ওয়েল্ডিংয়ের গবেষণার কাজ করছিলেন বছর ৬৪-এর ওই অধ্যাপক। সেই সময় আশঙ্কা বিস্ফোরণ ঘটে ল্যাবে। তাতে অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক এবং আসানসোলের বাসিন্দা এক ছাত্রের উপর রাসায়নিক গিয়ে পড়ে।

গবেষণার সময় ল্যাবে বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর আহত হয়েছিলেন দুর্গাপুর এনআইটির এক অধ্যাপক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা গেলেন তিনি। অধ্যাপকের নাম ইন্দ্রজিৎ বসাক। তিনি এনআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বিস্ফোরণের ফলে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অধ্যাপক। আজ সোমবার দিল্লির একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এছাড়াও, এই দুর্ঘটনায় বিস্ফোরণে আরও এক ছাত্র আহত হয়েছেন।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল পয়লা বৈশাখের দিন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে থার্মিট ওয়েল্ডিংয়ের গবেষণার কাজ করছিলেন বছর ৬৪-এর ওই অধ্যাপক। সেই সময় আশঙ্কা বিস্ফোরণ ঘটে ল্যাবে। তাতে অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক এবং আসানসোলের বাসিন্দা এক ছাত্রের উপর রাসায়নিক গিয়ে পড়ে। ঘটনায় গুরুতরভাবে ঝলসে যান অধ্যাপক। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।

দুজনকেই উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ছাত্র সুস্থ হয়ে উঠলেও অধ্যাপকের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ঘটনায় উন্নততর চিকিৎসার জন্য অধ্যাপককে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি চিকিৎসককে। সোমবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আজ সকালে তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গিয়েছে।

ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। একইসঙ্গে এনআইটি ক্যাম্পাসেও শোকের ছায়া নেমেছে। অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি জানান, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তিনি অধ্যাপকের পরিবার থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের সমবেদনা জানিয়েছেন। তবে ল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই মনে করেছেন অনেকেই।একইসঙ্গে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকদের একাংশ।