গত ৩১শে অগস্ট বেসরকারি কোম্পানির একটি ট্রাক সিগারেট বোঝাই করে তামিলনাড়ু থেকে রওনা দিয়েছিল। গন্তব্য ছিল ভুবনেশ্বর। এদিকে নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভুবনেশ্বরে পৌঁছায়নি ট্রাকটি। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এদিকে শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে ওই ট্রাকটির হদিশ পান পুলিশ কর্মীরা। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাকটির গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে এনজেপি ফাঁড়ির পুলিশ। একেবারে সাদা পোশাকে গাড়িটিকে ফলো করা শুরু হয়। তবে পুলিশ যে গাড়িটিকে অনুসরণ করছে তা কোনওরকমে টের পেয়ে যায় গাড়ির চালক ও খালাসি। এরপরই গাড়িটিকে নিয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ওই কোম্পানির এক কর্মী গাড়িতে উঠে চালকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন। এরপরই পুলিশ গাড়ির চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে এরা এর আগেও গাড়ি চুরির সঙ্গে যুক্ত।তাদের দুজনেরই বাড়ি অসমে। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম রহিম মণ্ডল ও অপরজন সইদুল ইসলাম। সোমবার ধৃত দুজনকেই জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তবে গাড়িতে থাকা সিগারেটের হদিশ মেলেনি। সেগুলিকে অন্য কোথাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এদিকে প্রশ্ন উঠছে তারা কি গাড়িটিকে নিয়ে অসমে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।