চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজোর পথে এবার নমো নমো করে কালীপুজো করার সিদ্ধান্ত নিল বারাসত ও মধ্যমগ্রামের পুজো কমিটিগুলি। পরিবর্তে করোনা পরিস্থিতিতে ছোটদের পোশাক কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসতের পুজোকমিটিগুলির সংগঠন। দুই পুরসভার কালীপুজোর আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের পুজোয় থাকবে না কোনও জাঁকজমক। হবে না আলোক সজ্জা।
বারাসত ও মধ্যমগ্রামের প্রধান উৎসব কালীপুজো। গত কয়েক বছরে থিম পুজো ও আলোকসজ্জায় গোটা রাজ্যে নজর কেড়েছে জমজ শহরতলি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবার নিয়মরক্ষার পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২টি শহরের পুজো উদ্যোক্তারাই। বদলে জনসেবায় অর্থ ব্যায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বারাসতের পুজোকমিটিগুলির তরফে প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর আগেই আমরা বৈঠক করে জাঁকজমকহীন কালীপুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়মরক্ষার পুজো হবে। এবছর কোনও চাঁদা তুলবে না পুজো কমিটিগুলি। মণ্ডপে থাকবে না আলোকসজ্জা।
পুজোর আড়ম্বর ঝেড়ে ফেলে এবার দুঃস্থদের পোশাক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসতের পুজোকমিটিগুলি। ছোটদের নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
একই পথে হেঁটেছে মধ্যমগ্রামও। তারাও এবার নমো নমো করে পুজো সারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজো কমিটিগুলির তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মাথায় রেখে এবার অনাড়ম্বর পুজোর আয়োজন করবে তারা। অংশগ্রহণ করবেন শুধু পুজো কমিটির সদস্যরা।