বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বামের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে কি এখনও ধন্দে কংগ্রেস? কোচবিহারে যৌথ মিছিলে শুধুই লাল পতাকা

বামের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে কি এখনও ধন্দে কংগ্রেস? কোচবিহারে যৌথ মিছিলে শুধুই লাল পতাকা

মিছিলে শুধু দেখা গিয়েছে বামেদের লাল পতাকা। (ফাইল ছবি)

কর্মসূচির দিন মিছিলে দেখা গেল শুধুই লাল পতাকা, নেই কংগ্রেসের পাতাকা। এমন কি জেলার কোনও কংগ্রেস নেতৃত্বেকেও দেখা যায়নি এই মিছিলে।

সামনে পঞ্চায়েত ভোট। আবার বছর পেরোলে লোকসভা। এখনও বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারছে না কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের একাধিক দাবিতে যৌথ ভাবে জেলা পরিষদ অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এই যৌথ কর্মসূচি নিয়ে প্রচারও হয়। কিন্তু কর্মসূচির দিন মিছিলে দেখা গেল শুধুই লাল পতাকা, নেই কংগ্রেসের পাতাকা। এমন কি জেলার কোনও কংগ্রেস নেতৃত্বেকেও দেখা যায়নি এই মিছিলে।

কেন গরহাজির কংগ্রেস, তার কোনও উত্তর নেই জেলার বাম নেতৃত্বের কাছে। সিপিএমের কোচবিহারের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় আনন্দবাজারকে বলেন,'কর্মসূচি শুরুর আগে জেলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার পরও কেন এল না তা বুঝতে পারছি না। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।' সিপিএমের দাবি, এই কর্মসূচি নিয়ে কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রবীন রায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। তার পর কী হল বোঝা যাচ্ছে না।

অন্য দিকে কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার অন্য এক কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম ইশোর বলেন, 'দলের কোনও নির্দেশ আসেনি। আমি ওই কর্মসূচির বিষয়ে জানতাম না। অন্য কে, কী বলল জানি না।'

পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কর্মসূচির উদ্দেশেই ছিল ভোটারদের কাছে জোটের বার্তা দেওয়া। কিন্তু কংগ্রেস না আসায় জোট নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। প্রশ্ন হল, বামেদের পক্ষ থেকে যখন যৌথ প্রচার করা হচ্ছিল তখন কেন কংগ্রেস কিছু জানালো না। স্থানীয় এক সিপিএম নেতার মতে, ' জোট নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান দ্রুত সপ্ষ্ট না করলে এই জটিলতা থেকেই যাবে।'

স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, 'আমরা যৌথ কর্মসূচির প্রচার শুনেছি। কিন্তু মিছিলের কংগ্রেসে কোন নেতা নেই, এমন কি পতাকাও নেই। তা হলে কিসের যৌথ কর্মসূচি। ওদের জোটের ফানুস ফেটে গিয়েছে।'

সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছে। দলের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোটের একটা অংশ রয়েছে বামেদের ভোট। সে কথা অধীর চৌধুরীও স্বীকার করেছেন। তবে যৌথ কর্মসূচিতে কংগ্রেসে অনীহা কেন? বামেদের সঙ্গে ঐক্যের ফলাফল নিয়ে কী এখনও সন্দিহান তারা? এই প্রশ্ন উঠছে।

বন্ধ করুন