বেঙ্গল সাফারি ও রসিক বিল। শীতকালে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে এই দুটি জায়গা। তবে রসিক বিলে খরচ বিশেষ না হলেও বেঙ্গল সাফারির জন্য খরচ অনেকটাই হয়। পর্যটকদের কাছে এটা স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি বোঝা। তবে ইতিমধ্য়েই উত্তরবঙ্গের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে টিকিটের বোঝা কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন।
কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী ধমকের পরেই রাজ্যের প্রায় সমস্ত বনাঞ্চলেই প্রবেশমূল্য মকুব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বহু পর্যটক যাঁরা এতদিন ফির কথা ভেবে জঙ্গলে যেতে পারতেন না তাঁরা এবার খুশি।
বেঙ্গল সাফারিতে প্রবেশ করার জন্য় পর্যটকদের মাথাপিছু ৫০ টাকা করে ফি দিতে হয়। তবে সাফারির জন্য় আলাদা করে টাকা দিতে হয়। যদি কেউ সমস্ত কিছু দেখতে চান তবে তাঁকে চারশো টাকা খরচ করতে হয়। একটি পরিবারের যদি চারজন সদস্য থাকেন তবে তাঁদের সব মিলিয়ে ১৬০০ টাকা খরচ। এটা অনেকের কাছেই বেশ চাপের। তবে ৫০ টাকা খরচ করেও পার্কের মধ্য়ে প্রবেশ করা যায়। এক্ষেত্রে সাফারির গাড়িতে তিনি চড়তে পারবেন না।
বেঙ্গল সাফারিতে কম্বো সাফারির টিকিট ২৫০ টাকা করে। সেখানে বাঘ ও তৃণভোজীদের দেখার সুযোগ মিলবে। আবার কেউ যদি গ্র্যান্ড সাফারি করতে চান তাহলে মাথাপিছু টিকিট ৪৫০ টাকা করে। সেখানে বাঘ, কালো ভল্লুক, লেপার্ড, তৃণভোজী প্রাণী দেখার সুযোগ মিলবে। আবার জয় রাইডের জন্য ফি ৮৫০ টাকা করে। এর সঙ্গেই প্রবেশমূল্য যুক্ত রয়েছে। বেঙ্গল সাফারির ওয়েবসাইটে এই ফির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে এই সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে।
রোজই বিশেষত শীতকালে হাজার হাজার পর্যটক এই বেঙ্গল সাফারিতে যান। তবে বেঙ্গল সাফারিতে ফি মকুব করা হবে কি না বা ফি কমানো হবে কি না তা এখনও পরিস্কার নয়। ওয়েবসাইটে শুক্রবারও ফির কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জের রসিকবিলও পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণের। কোচবিহারের পাশাপাশি অসম থেকেও প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন। এখানকার প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা করে। তবে শিশুদের জন্য় এখানে টিকিটের মূল্য ১০ টাকা করে। বহু মানুষ শীতকালে পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য রসিক বিলে ভিড় জমান। সেই সঙ্গেই ঘড়িয়াল দেখার জন্যও অনেকে যান। তবে এখনও পর্যন্ত এই দুটি পর্যটনকেন্দ্রে ফি মকুবের কোনও নির্দেশ আসেনি বলেই খবর।