এবারও দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। মণ্ডপের বাইরে থেকেই তাঁদের প্রতিমা দর্শন করতে হবে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, গত বছরের মতো মণ্ডপে 'নো এন্ট্রি' রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে কোনও আপত্তি নেই।
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গতবারের মতো মণ্ডপের মধ্যে সীমিত সংখ্যক উদ্যোক্তাদের প্রবেশের অনুমতি থাকছে। বড় পুজো মণ্ডপগুলির মধ্যে সর্বাধিক ২৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। ছোটো পুজো মণ্ডপগুলির ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা হবে ১২। সেইমতো পুজো কমিটিগুলিকে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। যাঁরা মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের যাবতীয় করোনাভাইরাস বিধি মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই পুজো নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাতে গত বছর দুর্গাপুজোর সময় হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা বহাল রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে হলফনামা পেশ করে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, মণ্ডপে 'নো এন্ট্রি' রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে কোনও আপত্তি নেই। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গতবারের মতোই এবার পুজোর আয়োজন করা হোক।
গত বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মণ্ডপের সামনে ‘নো এন্ট্রি জোন’ বজায় থাকবে। সেখানে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড দিতে হবে। ছোটো মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই ব্যারিকেডের দূরত্ব হবে ১০ মিটার। প্রাথমিকভাবে বড় মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ২৫ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ছোটো মণ্ডপে ১৫ জন উদ্যোক্তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। পরে সেই সীমা কিছুটা বাড়িয়েছিল হাইকোর্ট। জানানো হয়েছিল, বড় মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। একইসঙ্গে অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার উপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় ছিল।