স্কুলের প্রধানশিক্ষক বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে স্কুলেই আসছেন না। এই আবহে মিড ডে মিল পাচ্ছেন না স্কুলের প্রায় ১৭০০ পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, বিগত প্রায় ১৫ মাস ধরেই মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে না পড়ুয়াদের। ঘটনাটি পুরুলিয়া জেলার ঝালদা-২ ব্লকের বড়রোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের। জানা গিয়েছে, প্রধানশিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধআনশিক্ষক মিড ডে মিল নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এদিকে শুধু মিড ডে মিল নয়, স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের।
জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ দিন স্কুলে আসেন না প্রধানশিক্ষক রাজীব মাহাতো। এই আবহে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তারালাল মুড়া জানিয়েছেন, স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। মিড ডে মিল নিয়ে তারালালবাবুর বক্তব্য, ‘করোনার পর যখন থেকে স্কুল খোলা হয়েছে, তখন থেকেই মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রধানশিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারণেই এই সমস্যা। প্রশাসন দায়িত্ব দিলে নিশ্চয়ই আমরা মিড ডে মিল চালু করতে পারব।’
২০০০ সালে চালু হওয়া বড়রোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক সংখ্যা ১৬। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর ছুটির আগে এক বার প্রধানশিক্ষক স্কুলে এসেছিলেন। তার পর আর আসেননি। কয়েকদিন আগেই টাকির এক প্রাথমিক স্কুলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্কুলকে অর্থ সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ‘খোলা চিঠি’ লিখে রাজ্যের বাকি স্কুলগুলির বেহাল দশার দিকে মমতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সেই চিঠি লেখার পরই এবার সামনে এল ঝালদার এই স্কুলের অপব্যবস্থা। এত সংখ্যক পড়ুয়া বিগত ১৫ মাস ধরে মিড ডে মিল না পাওয়ায় প্রশাসনের দিকে স্বভাবতই আঙুল উঠছে।