জল্পনার আর এক নাম শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ— গত কয়েকদিন ধরে সকলের মুখেই ছিল এই একই কথা। আর সকলে তাকিয়ে ছিলেন ১০ নভেম্বর, নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানমঞ্চের সভার দিকে। সেখান থেকে কী বার্তা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী? তিনি কি নতুন রাজনৈতিক পথ বেছে নেবেন? এতদিন ধরে জমিয়ে রাখা জল্পনার অবসান কি ঘটাবেন শুভেন্দু অধিকারী? এই সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল এতদিন ধরে।
আর এদিন মঞ্চে উঠেই শুভেন্দু বললেন, ‘সংবাদমাধ্যমের লোকজন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অপেক্ষা করে আছেন শুভেন্দু অধিকারী কী বলবেন।’ কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘আমি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলব।’ শুভেন্দুর সাফ কথা, ‘আমার মত কী? আমার পথ কী? আমার চলার পথে কোথায় স্বচ্ছন্দ্য, কোথায় গর্তে ভরা, কোথায় আমি হোঁচট খাচ্ছি, কোন রাস্তা ছেড়ে দিয়ে আমি স্বাভাবিক রাস্তায় হাঁটতে পারব— সে সব রাজনৈতিক মঞ্চে বলব, এই মঞ্চে আমি বলব না। এই পবিত্র মঞ্চে আমি রাজনীতি করি না। করব না।’
তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি, বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলদের পাশে নিয়ে এদিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কাউকে ভয় পায় না। চেনা বামনের পৈতের প্রয়োজন হয় না।’ তাঁর ‘জয় জয় নন্দীগ্রাম’ স্লোগান ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’ পাঠে এদিন গর্জে ওঠে সভামঞ্চ। সভার শেষে কারও নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে। দেখা হবে রাজনীতির মঞ্চে।’