বিষ প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে চোপড়ার কিশোরীর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেই তথ্যই উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যৌন বা শারীরিক নির্যাতনেরও কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ওই কিশোরীকে খুনের অভিযোগে রবিবার রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় চোপড়ার সোনপুর। পোড়ানো হয় সরকারি বাস, পুলিশের গাড়ি। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। পালটা পুলিশের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া ও লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। এরইমধ্যে এলাকায় যান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তারপরই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের পালটা দাবি, একটি দুঃখজনক ঘটনাকেে নিয়ে রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার দুপুরে চোপড়ায় একটি প্রতিনিধিদলও যাচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
এরইমধ্যে রাতের দিকে ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে, তাতে যৌন বা শারীরিক হেনস্থার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশের দাবি, রবিবার সকালে কিশোরীর মৃত্যুর খবর মেলে। পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। পুলিশের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে দাবি করেছে পুলিশ। তবে ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এদিকে সোমবার সকালে টুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানান, পশ্চিমবঙ্গের 'উদ্বেগজনক' পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।