দলের প্রার্থী তালিকা পছন্দ হয়নি। তাই ধুতি তুলে বটি–কাবাবের কথা বলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। এমনকী যাঁরা এই প্রার্থী তালিকা করেছেন তাঁরা দলের সবাইকে চেনেন না বলেও দাবি করেছেন কালারফুল নেতা। হ্যাঁ, তিনি মদন মিত্র। যাঁর বিধানসভা এলাকায় পা রাখলে দেখা যাবে কোনও দেওয়াল লিখন নেই। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, পার্থ–বক্সির প্রকাশিত তালিকাই চূড়ান্ত। তবে এখন মদনের এলাকা চর্চার কেন্দ্রে।
কী অবস্থা দেওয়াল লিখনের? এখানে গিয়ে দেখা যাবে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পার করলে বি টি রোড থেকে বাঁ–দিকে যে রাস্তা ঢুকেছে সেটা গ্রাহাম রোড। এই রাস্তা ধরে এগোলে শাসকদলের পক্ষে কোনও দেওয়াল লিখন চোখে পড়বে না। নেই ব্যানার–ফেস্টুন–ফ্লেক্স। প্রার্থীর প্রচারে নেই কোনও দেওয়াল লিখন। সব রাস্তা থেকে অলি–গলিতে এই ছবিই পুটে উঠেছে।
কেন নেই দেওয়াল লিখন? এখানের সাত ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবিতে সম্প্রতি বন্ধ, অবরোধ করা হয়েছিল। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি যেখানে মনোনয়ন পেশের শেষ দিন, সেখানে সাতটি ওয়ার্ডের একটিতেও শাসকদলের দেওয়াল লিখন নেই। রবিবার এক সভায় দেওয়াল না লেখার কথা বলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তারপর থেকে আর কেউ হাত দেননি। যদিও তিনি দেওয়াল লিখতে নিষেধ করেননি বলেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক? এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব যদি কামারহাটির ছোটখাটো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, তা হলে এই সব ঝামেলা হতো না। ওই সাতটি ওয়ার্ডে এমন কিছু মানুষ প্রার্থী হয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে পাড়ার লোক থেকে বাড়ির সদস্যরাও নেই। তাই দেওয়াল লেখাও হয়নি।’ এই কথা তিনি বললেও কোনও ভোটের মেজাজ এখানে দেখা যাচ্ছে না।