জমি–বিতর্কের মধ্যেই মিউটেশনের জন্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে আবেদন করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ইতিমধ্যেই বোলপুরে জমির মিউটেশনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার এই আবেদনের শুনানি হবে। ১৩ ডেসিমেল জমির মালিকানা নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। উপাচার্যের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠিয়ে যৌথভাবে জমি জরিপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বহুদিন ধরেই বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্য সেনের জমি জট নিয়ে তপ্ত রাজ্য–রাজনীতি। তা নিরসন করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বোলপুরে অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে জমির কাগজ হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন। তারপরই বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে কিছু আপত্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়। এমনকী জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনকে নোটিশ পাঠায়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতে দু’দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখানে জমির সীমানা নির্দিষ্ট করার দিনক্ষণ জানতে চায় বিশ্বভারতী।
এদিকে বিশ্বভারতীর দাবি, ওই জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেটি জোর করে দখল করা হয়েছে। আর অমর্ত্য সেন সাফ জানিয়েছেন, বাড়ির জন্য কিছু পরিমাণ জমি লিজ নিয়েছিলেন তাঁর বাবা। আর কিছুটা কিনে নিয়েছিলেন। তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। দু’দিন আগে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অমর্ত্যকে চিঠি পাঠিয়ে যৌথভাবে জমি জরিপের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এরপরই মিউটেশনের জন্য আবেদন জানালেন অমর্ত্য। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানির সম্ভাবনা আছে। ওইদিন অমর্ত্য সেনকে সশরীরে হাজির থাকতে হবে। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে জমির সমস্ত নথিপত্র। তবে এই আবেদনের মধ্যে দিয়েই বিশ্বভারতীর পত্রাঘাতের জবাব দিলেন অর্থনীতিবিদ।
অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেন যে, বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করেছেন অর্মত্য সেন। এই নিয়ে তিনবার বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অর্মত্য সেনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং যৌথভাবে জমি জরিপের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এমনকী অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি বলে কটাক্ষ করেন উপাচার্য। আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সম্মানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা অভিপ্রেত নয়। ওঁরও জমিজট নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। হয়তো ওঁনার জানা নেই। যদি জমি থাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।’