শিলিগুড়ি, অশোক ভট্টাচার্য আর সিপিএম তিনটি শব্দ যেন পরস্পরের সমর্থক। বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র। কার্যত শিলিগুড়ির রূপকার বলে পরিচিত তিনি। আর সেই অশোক ভট্টাচার্যই ডাক পেলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দলের সাংবাদিক বৈঠকে। এমনকী তাঁকে নাকি জানানোই হয়নি এব্য়াপারে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি দলের কাছে অশোক ভট্টাচার্যের প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে?
অশোক ভট্টাচার্য এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, কখনও থাকি, কখনও থাকি না। আগের মতো নয়। তবে সেদিন আমি জানতাম না। কোথাও প্রোগ্রামে বললে যাই। কোথাও না বললে যাই না। আমি জানতাম না । জানা থাকলে যেতাম।
দল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক ছিল শিলিগুড়ির পার্টি অফিসে। আর সেই বৈঠকে নেই অশোক ভট্টাচার্য। এমন ছবি এর আগে কবে দেখেছে শিলিগুড়ি তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। এমনকী অশোক ভট্টাচার্য না এলে দলের সাংবাদিক বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন নজিরও রয়েছে শিলিগুড়িতে। আর সেই বৈঠকের কথা জানতেই পারলেন না প্রবীন সিপিএম নেতা?
তবে কি নতুনদের জায়গা করে দিতে অশোক ভট্টাচার্যও বাতিল হয়ে যাবেন, ব্রাত্য হয়ে যাবেন শিলিগুড়ির বাম রাজনীতিতে? নানা জল্পনা, নানা চর্চা এখন শিলিগুড়িতে। অনেকেরই মতে, শিলিগুড়িতে ক্ষমতায় নেই বামেরা। তবুও এখনও হিলকার্ট রোডে লাল পতাকার মিছিল বেরলে যে মানুষটা সবার সামনে থাকেন, তিনি অশোক ভট্টাচার্য। এখনও বিরোধীরা শিলিগুড়িতে সিপিএম বলতে সবার আগে যে নামটি উচ্চারন করেন, তিনি আর কেউ নন অশোক ভট্টাচার্য। তবে কি দলের মিটিংয়ে ডাক না পেয়ে কিছুটা হলেও অভিমান হয়েছে তাঁর?
শিলিগুড়িতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, তিলতিল করে দলটাকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য়রা। তাঁকেই ভুলে যাচ্ছে দলের বর্তমান নেতৃত্ব। অশোকবাবু জানিয়েছেন, আমি এখন আগের মতো আর সেক্রেটারিয়েট মেম্বার নই। আমন্ত্রিত… কোথাও প্রোগ্রামে বললে যাই। কোথাও না বললে যাই না। আমি জানতাম না । জানা থাকলে যেতাম। আগে যেমন যেতে হত। সেটা তো আর নেই।…
তবে সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সেদিন ছিলেন না। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।