বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Suvendu Adhikary: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের, কেন এমন ঘটনা ঘটল?

Suvendu Adhikary: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের, কেন এমন ঘটনা ঘটল?

শুভেন্দু অধিকারী।

এই উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই এবার জামিন অযোগ্য মামলা হল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি এই ধরনের কথা বললে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন। আর একাধিকবার নানা জায়গায় বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

হিন্দুরা না জাগলে আগামী দিনে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে। এমই সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই মন্তব্য করে এখন বিপাকে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০ অক্টোবর আসানসোলে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। তারপর ২৪ অক্টোবর নন্দকুমারের একটি ক্লাবের পুজোর অনুষ্ঠানে তিনি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। যার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী আবু সোহেল। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

ঠিক কী বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা?‌ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘এই লক্ষ্মীপুজোর দিন বাংলাদেশের নোয়াখালিতে জেহাদিরা একদিনে ১০ হাজার হিন্দু খুন করেছিল। এবার লক্ষ্মীপুজোর দিন ঠিক একইভাবে মোমিনপুর–ইকবালপুর–খিদিরপুরে ১০০ হিন্দুর বাড়ি–দোকান ভেঙেছে, জ্বালিয়েছে। ৩০টা মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে। বহু হিন্দুরা সেখানে আক্রান্ত হয়েছে। ২০ বছর আগে ওই এলাকায় হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। আজকে মোমিনপুর, খিদিরপুর, ইকবালপুরে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। এরা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে হিন্দু শূন্য করতে চায়।’‌

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কোনও একটি সম্প্রদায়ের পক্ষে এবং বিপক্ষে মন্তব্য করার পর সেখানে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। দেশের সংবিধান যখন বহুত্ববাদের উপর তৈরি তখন এমন মন্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌এরকম মামলা এর আগেও অনেকবার হয়েছে। এই ধরণের মামলা তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন।’‌ অর্থাৎ গোটা বিষয়টি তিনি খুব হালকাভাবে নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আর কী বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক?‌ আর একাধিকবার নানা জায়গায় বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‌হিন্দুশূন্য হলে তালিবান হবে, আফগানিস্তান হবে, বলবে ধর্ম ছাড়ো, দেশ ছাড়ো। পালাবেন কোথায়? ওদিকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর এদিকে বঙ্গোপসাগর। হয় বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিতে হবে, না হলে ইসলামিক কান্ট্রিতে গিয়ে মাথা নীচু করে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে। তাই এখনও যদি বাংলার হিন্দুরা না জাগেন, তবে জাগবেন কবে?’ উল্লেখ্য, এই উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই এবার জামিন অযোগ্য মামলা হল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি এই ধরনের কথা বললে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।

বন্ধ করুন