রাতের অন্ধকারে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ইন্দো–বাংলাদেশ সীমান্ত ধরে অবৈধ পথে এপার বাংলায় এসেছিল দু’জন বাংলাদেশের নাগরিক। তারপর এখানে গা–ঢাকা দিয়ে থাকতেও শুরু করেছিল। তারপর এখান থেকে তারা চলে যায় নয়াদিল্লি। আর নয়াদিল্লি গিয়ে কাজ করতে শুরু করে তারা। কিন্তু মহম্মদ ইউনুস সরকারের জমানায় ওপারে অশান্তি থামছেই না। বাধ্য হয়ে অবৈধ পথ ধরে এপারে চলে আসছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। কেউ প্রাণভয়ে, কেউ রুটিরুজির সন্ধানে। কিন্তু পরিবার তো ওপারে আছে। তাই সেখানে ফিরতেও তো হবে। সুতরাং আবার সেই অবৈধ পথের ব্যবহার। কিন্তু এবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করতেই গ্রেফতার হয় এই দুই অনুপ্রবেশকারী। আজ, শনিবার ভোরে এই দু’জনকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই দুই বাংলাদেশের নাগরিক এখানে বেশ কিছুদিন আগে এসেছিল। তারপর ঘাঁটি গেড়ে কিছুদিন থেকে তারপর নয়াদিল্লি যায়। এই দু’জনের এপার বাংলায় কে বা কারা পরিচিত ছিল সেটা এখন পুলিশ জানতে চায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দু’জনের নাম মিলন হোসেন এবং জোৎসনা আক্তার। কোনও বৈধ কাগজপত্র এই দু’জনের কাছে ছিল না। সম্পূর্ণ অবৈধ পথে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিল। তারপর কাজ করার জন্য নয়াদিল্লিতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই আবার তারা খবর পায় ওপার বাংলা আবার জ্বলছে। তাই বাংলাদেশ ফেরার চেষ্টা করছিল তারা। আজ ভোরে দু’জনে বসিরহাটের স্বরূপনগরের ভারত–বাংলাদেশ তারালি সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ধরা পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার পরিচয় দিয়ে যুবতীদের ধর্ষণ করার অভিযোগ, যাদবপুরে গ্রেফতার
এই সীমান্ত পার করার চেষ্টা পরিষ্কার দেখতে পায় বিএসএফ জওয়ানরা। তখন তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। আর সঠিক পরিচয় জানতে চান জওয়ানরা। ভারতের ভূখণ্ডে কী করে দাঁড়িয়ে আছে তারা? জানতে চান। বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান জওয়ানরা। কিন্তু কোনও বৈধ কাগজপত্র দু’জনের কেউ দেখাতে পারেনি। চাপ বাড়ালে সত্য কথা বেরিতে আসতে থাকে। স্বীকার করে নেয় তারা দু’জনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। একসঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে এসেছিল। তখনই দু’জনকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দালালদের ধরে এই দুই বাংলাদেশি নাগরিক মিলন হোসেন এবং জোৎসনা আক্তার এদেশে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। নয়াদিল্লিতে কোথায় কাজকর্ম করত এই দু’জন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আর যা তথ্য তাদের থেকে পাওয়া যাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা। অভিযুক্তদের আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অশান্ত বাংলাদেশে থাকতে না পেরেই এদেশে ঢোকে তারা। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারের নানা জায়গা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়ছে। জঙ্গিরাও ধরা পড়ছে।