আবার রহস্যজনক মৃত্যু তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। পলতায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ প্রকাশ্যে আসায় তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হান্নান গাজি নামে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মাথায় গভীর ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আঘাতের চিহ্ন রয়েছে পায়েও। যা দেখে ওই নেতার পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে হান্নান গাজিকে। এই অভিযোগ করার পর থেকে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। রাত ১টা ২০ নাগাদ একটা তীব্র আওয়াজ পান এলাকার বাসিন্দারা। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, হান্নান এই এলাকায় একজন প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হিসাবে পরিচিত। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পলতা কালিয়ানিবাস রোড এলাকায় তখন হঠাৎ প্রচণ্ড বিকট শব্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। অনেকেই তখন বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন। আর তখনই তাঁরা দেখতে পান, হান্নান রাস্তার উপরে পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আছেন। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু আর কাউকে দেখা যায়নি। ওই নেতার দেহ পড়ে থাকতে দেখেই খবর যায় পুলিশ। রাতে তখন টিটাগড় থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে। এখন শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন: আবার প্রিজন ভ্যান থেকে আসামী ছিনতাই, ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গেল চোপড়ার গ্রামে
অন্যদিকে আজই ওই নেতার দেহের ময়নাতদন্ত হবে। এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সম্রাট তপাদার বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। হান্নান এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। এলাকার উপর তাঁর প্রভাবও ছিল। কিন্তু এভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই হতবাক। তাঁর প্রভাব যাতে না থাকে তাই তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ সবটা তদন্ত করছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি আমরা। আমাদের মনে হচ্ছে, খুনই করা হয়েছে হান্নান গাজিকে। এভাবে অকালে চলে যেতে হল হান্নানকে। খুন কিনা সেটা পুলিশ খুঁজে দেখুক পুলিশ।’ আজ এই ঘটনা নিয়ে এসাকায় জোর চর্চা হয়েছে।
এছাড়া এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাইয়ের কথায়, ‘দাদা তো তৃণমূল কংগ্রেস করত। দেহ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে না এটা নিছক দুর্ঘটনা। ইচ্ছা করেই খুন করা হয়েছে। মাথায় আর পায়ে আঘাত আছে। কাটার চিহ্ন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। ওকে রড জাতীয় কিছু দিয়ে মারা হয়েছে।’ এই এলাকার অটো ইউনিয়ন সামলাতেন হান্নান। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতির যোগ কতটা আছে সেটা খুঁজে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় আটক তাঁর সঙ্গী অভিজিৎ নন্দী। তবে হান্নানের বৌদির কথায়, ‘ওর সঙ্গে যে ছিল সে বলছে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেখে সেটা মনে হচ্ছে না।’