আজ (মঙ্গলবার) সকাল আটটা-ন'টা পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। হালকা থেকে মাঝারি ধারাপাত চলতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সোমবার উত্তর বঙ্গোসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে। তার জেরে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি চলবে। তিনদিনই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে। বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে। আগামিকাল (বুধবার) পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় কয়েকটি বৃষ্টির দাপট খানিকটা কম থাকবে। সেখানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার অবশ্য গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির অনেকটাই কমে যাবে। সেদিন মূলত রাজ্যের পশ্চিমাংশের জেলা তথা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বর্ষণ চলতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের দু'একটি জায়গাতেও।
বৃহস্পতিবার থেকে নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাবে। তার জেরে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরে তা আরও পশ্চিমে অর্থাৎ ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাবে। সেখানেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আর সেখানেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ প্রবল বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর আরও বাড়বে। ফলে প্লাবিত হতে পারে উপকূলবর্তী জেলার নীচু এলাকাগুলি। ওই সময়ে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে হাওয়া অফিস।