কালিয়াগঞ্জে অ্যাম্বুল্যান্সের খাই মেটাতে না পেরে ব্যাগে করে শিশুর দেহ বাড়িতে আনার ঘটনায় রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কী করে এই ঘটনা ঘটল তদন্ত শুরু করেছে তারাও।
মৃত শিশুর বাবা অসীম দেবশর্মা বলেন, শনিবার রাতে ছেলে মারা গেলে ডাক্তারবাবু বলেন, কাগজ করে দিচ্ছি। দেহ নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যান। এর পর ১০২ নম্বরে ফোন করে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চান তিনি। কিন্তু মৃতদেহ বহন করার জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ফোনর অপরদিকে থাকা ব্যক্তি।
অসীমবাবুর অভিযোগ, নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের চালকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁরা কালিয়াগঞ্জে দেহ নিয়ে যেতে ৮ হাজার টাকা দাবি করেন। এর পর সারা রাত হাসপাতালেই ছিলেন অসীমবাবু। সকালে দোকানপাট খুললে ১৭০ টাকা দিয়ে একটি ব্যাগ কেনেন তিনি। তাতে ছেলের দেহ ভরে টোটো ধরে চলে আসেন বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে বাস ধরে আসেন কালিয়াগঞ্জ।
যদিও ৬ মাসের শিশুর দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য ৮,০০০ টাকা দাবি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি শিশু বিভাগের সামনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে বাইরে থেকে আসা অ্যাম্বুল্যান্সগুলি দাঁড়িয়ে থাকে। হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স ওখানে থাকে না। আমি ওই রাতে ডিউটিতে থাকা সমস্ত চালকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই আমাকে বলেছেন, এমন কারও সঙ্গে কথা হয়নি।’
হাসপাতালের ডিন চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। কী করে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা তদন্ত করব।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দার্জিলিংয়ের CMOH-এর কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্য দফতর।