উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে পাখি উৎসব। দেশ বিদেশ থেকে পাখিপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। জঙ্গলে, পাহাড়ে ঘুরছেন পর্যটকরা। কাঁধে আধুনিক ক্যামেরা। কেউ আবার মনের ক্যামেরায় তুলে রাখছেন পাখির ছবি। কখনও চিলাপাতা, কখনও কোদালবস্তি সংলগ্ন জঙ্গলে, কখনও আবার পাহাড়ি পথে তাঁরা ঘুরছেন। উত্তরবঙ্গের পাখির সমাহার দেখে চোখ ফেরাতে পারছেন না পর্যটকরা। কার্যত পাখির রূপ দেখে ঘোর কাটছে না তাদের। কার্শিয়াংয়ের লাটপাঞ্চার পাখির গ্রাম বলে পরিচিত। আর কোথায় ওদের দেখা পাবেন?
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই উৎসব। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। এককথায় পাখি দেখার উৎসব। সহযোগিতায় রাজ্য পর্যটন দফতর। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান সহ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসেছেন উত্তরবঙ্গে। সেখানকার পাখি দেখে মোহিত তাঁরা। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে মোটামুটি ৭৫০ রকমের পাখি রয়েছে। দোয়েল, ময়না, কোয়েল, ঈগল, হর্ন বিল সহ নানা প্রজাতির পাখি রয়েছে উত্তরবঙ্গে।
তবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, শুধু পাখিকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে পর্যটনের অন্য রাস্তা খুলে দেওয়া যেতে পারে। চিলাপাতায় যে এত ধরনের পাখি রয়েছে তা আগে বিশেষ জানা যায়নি। এককথায় পর্যটনের অন্য় দিশা খুলে যাচ্ছে এবার।
বক্সা পাহাড় থেকে কোদালবস্তি, চিলাপাতা থেকে, ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলে পাখি দেখানোর ব্য়বস্থা করা হচ্ছে পর্যটকদের। পাখিরা কী খায়, কোথায় থাকে, তাদের স্বভাব সহ নানা বিষয় জানানো হবে পর্যটকদের।
এদিকে উত্তরবঙ্গ মানেই পাহাড় আর জঙ্গল। অনেকে সেই পাহাড় আর জঙ্গল দেখেই বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু পাখিও উত্তরবঙ্গের বড় সম্পদ। গরুমারার জঙ্গলই হোক কিংবা চিলাপাতা, পাখিদের রূপ দেখে মোহিত হয়ে যান পর্যটকরা। এবার সেই পাখি দেখাকে কেন্দ্র করে একেবারে উৎসবের আয়োজন উত্তরবঙ্গে।
গত দুবছর ধরেই এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবার এই উৎসবের ব্যপ্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য় একটাই দেশ বিদেশের পর্যটকরা যাতে ফিরে গিয়ে উত্তরের অপরূপ সৌন্দর্যের কথা সকলকে বলেন। তাঁদের মুখে মুখেই প্রচার পাবে পর্যটনের। প্রসার হবে পর্যটনের। রাজাভাতখাওয়াতে এই পাখি উৎসবের সমাপ্তি হবে।
তবে পাখি প্রেমীদের আবেদন, ঘুরে দেখুন উত্তরবঙ্গ। মন ভরে দেখুন পাখিদের। কোথায় পাখি দেখা যাবে, কোন সময় দেখা যাবে সেটা পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাইডদের থেকে জেনে নিন। উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গেলে একটা দিন রাখুন পাখির জন্য। যে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন তা সঙ্গী থাকবে জীবনভর। কিন্তু ভুলেও বিরক্ত করবেন না ওদের।