কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মাঝেই বাড়ল বাগডোগরা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উড়ে যাওয়ার বিমানভাড়া। পাহাড়ের বহু এলাকা বর্তমানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমতলে ফেরার বহু রাস্তাই বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন পর্যটকদের সমতলে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা সমতলে ফিরেছেন, তাঁরা বাগডোগরা থেকে বিমানে বাড়ি ফেরার চেষ্টাও করছেন। কিন্তু বিমান মাশুল অস্বাভাবিকভাবে বেশি। যার ফলে সমস্যায় পড়়েছেন বহু পর্যটক।
একই সুর গাড়ি ও বাসের
উত্তরবঙ্গে শনিবার থেকেই বিপর্যস্ত দার্জিলিং, মিরিকসহ একাধিক জেলা। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটকও। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই আকাশ ছুঁয়েছে গাড়িভাড়া। পাল্লা দিচ্ছে ফ্লাইট খরচাও। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বাস পাওয়া যাচ্ছে না। যা মিলছে, তার খরচ সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে যেসব গাড়ি সাধারণ সময় ৩০০০ টাকায় শিলিগুড়ি নিয়ে যেতে রাজি থাকে, তারাই চাইছে ৬০০০ টাকা বা কখনও তার বেশি। তবে ইতিমধ্যে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ১০টি এনবিএসটিসির বাস দ্রুত পৌঁছেচ্ছে উত্তরবঙ্গের বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায়। আরও ১৭টি বাসেরও বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন।
বিমানের কনফার্মড টিকিটও ক্যানসেল!
বেশ কিছু যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানের আগে থেকে কনফার্মড টিকিটও ক্যানসেল হয়ে যাচ্ছে। বাগডোগরা থেকে কলকাতায় আসার বিমানভাড়া বেড়ে ২১ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে। নতুন করে সেই চড়া দামের টিকিট কেটেই আসতে হচ্ছে বহু পর্যটককে। এক কথায়, পুজোর ছুটিতে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়়ুন - পুজোর অনুদান পেয়েও নেই মমতার ব্যানার, কড়া হুঁশিয়ারি, বিতর্কে TMC বিধায়ক
আরও পড়়ুন - চলতি মাসেই এসএসসি-র ফল প্রকাশের সম্ভাবনা, যোগ্যরাই চাকরি পাবেন, বললেন ব্রাত্য
সমতলে ফেরার কোন কোন রাস্তা খোলা?
১. দার্জিলিং-শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোড খোলা
২. পাঙ্খাবাড়ি-শিলিগুড়ি রোড খোলা
৩. দার্জিলিং-সুখনা-রংটং-কার্সিয়ং হয়ে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি পৌঁছানো সম্ভব।
৪. মিরিক থেকে পশুপতি-ঘুম-কার্শিয়াং হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছানো সম্ভব।
৫. কালিম্পং হয়ে লাভা-লোলেগাঁও-গরুবাথানের রাস্তা ধরে শিলিগুড়ি পৌঁছানো সম্ভব।
৬. ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খোলা কিন্তু যাতায়াতের পথে এখনও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।