জানুয়ারি মাসে সাইকেলে চালিয়ে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী ভারতী রায়। সাইকেলের ধাক্কায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁর বাঁ পায়ের সিনবোন ভেঙে যায়। কিছুদিন বেসরকারি জায়গায় তিনি চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাচ্ছিল। এরপর গত ১৬ই এপ্রিল তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর তারপর থেকে কার্যত বিনা চিকিৎসায় পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে বেডে শুয়ে রয়েছেন তিনি। ভারতী দেবীর মেয়ে দীপালি রায় সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, দিনের পর দিন বিছানায় পড়ে রয়েছেন। কেউ ফিরেও তাকায় না। নার্সদের বার বার বলেছি। তাঁরা বলেছেন ডাক্তার এলে কথা বলতে। কিন্তু ডাক্তার তো আসেনই না।
পরিবারের দাবি, ভর্তির ১৬দিন পরে এক চিকিৎসক দেখে গিয়েছিলেন। এরপর গত বুধবার অন্য এক চিকিৎসক দেখে গিয়েছেন। কিন্তু ভাঙা পায়ের চিকিৎসা কী হবে সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁর পরিবারের লোকজন। এদিকে ঠিক কার কাছে সমস্যার কথা বলবেন সেটাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তবে পরিবারের দাবি, ২০দিন ধরে একটা ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন ওই রোগিনী। পায়ের চিকিৎসা বা ড্রেসিংয়ের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। কবে হবে সেটাও স্পষ্ট নয়। এদিকে এই হাসপাতালের সাফল্যের কথা বার বার সামনে এসেছে। এর সঙ্গে অবহেলার ছবিও এবার প্রকাশ্যে।